পিস্তল বের করে প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রীর হামলা

Spread the love

ডাল্টনগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কে এন ত্রিপাঠি পিস্তল বের করলেন বুথের সামনে। তাঁর দাবি, হামলায় নিজের রক্ষা করেছি। ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এর আগে বুথে ঢুকতে গেলে ত্রিপাঠিকে বাধা দেয় কয়েকজন। অভিযোগ তারা বিজেপি কর্মী। তখন রক্ষীরা বন্দুক উঁচিয়ে তেড়ে যান। তারপরে নিজেই পিস্তল বের করেন প্রাক্তন মন্ত্রী কে এন ত্রিপাঠি। তাঁকে ঘিরে রাখেন রক্ষীরা। সব মিলে সকাল থেকে মাওবাদী হামলা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ডাল্টনগঞ্জের কিছু এলাকায়।

ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস প্রার্থী কে এন ত্রিপাঠির উপর হামলা করতে এসেছিল কয়েকজন। ঘটনাস্থল কোশিয়ারা বুথ। কংগ্রেসের অভিযোগ, হামলাকারীরা বিজেপি কর্মী সমর্থক। বুথের সামনেই আক্রান্ত প্রাক্তন মন্ত্রীর রক্ষীরা বন্দুক উঁচিয়ে ধরেন ভিড়ের দিকে। সেই দেখে ছত্রভঙ্গ হয় হামলাকারীরা। কোনওরকমে প্রাক্তন মন্ত্রী ত্রিপাঠিকে বুথ থেকে সরান রক্ষীরা। নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোট করেছে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি। জোটের প্রার্থী হয়েছেন ত্রিপাঠি। তাঁর উপর হামলার আশঙ্কা আগেই করেছিল বিভিন্ন মহল। ডাল্টনগঞ্জেই বিজেপির প্রার্থী ড. অলোক চৌরাশিয়া। অভিযোগ, বিজেপির একাংশ সমর্থক যেভাবে বুথে ঢুকতে বাধা দিয়েছে তাতে তারা রিগিং চালাচ্ছিল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।

এদিকে নির্বাচন শুরুর পরেই প্রবল মাওবাদী হামলা হয় ডাল্টনগঞ্জের বিষনপুরে। সেতু উড়িয়ে দেয় মাওবাদীরা। এর ফলে পুরো এলাকা বিচ্ছিন্ন। এই সেতু দলে পড়ায় এখান দিয়ে নিরাপত্তা রক্ষীদের কনভয় যাওয়া সম্ভব নায়। ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা।

রাজ্যের সর্বাধিক মাও হামলায় রক্তাক্ত পালামৌ ও লাতেহার। এখানকার সবকটি বুথে প্রবল হামলার সম্ভাবনা রয়েছে। আগেই তাদের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে লাতেহার। মারা যান ৪ নিরাপত্তা কর্মী। ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনের ৫টি দফার প্রতিটি দফায় হামলার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার সকাল সাতটা থেকে বেলা তিনটে পর্যন্ত হবে ভোটগ্রহণ।

ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনের ৫টি দফার প্রতিটি দফায় হামলার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার সকাল সাতটা থেকে বেলা তিনটে পর্যন্ত হবে ভোটগ্রহণ।

বিশেষভাবে নিরাপত্তার কাজে মোতায়েন করা হয়েছে কোবরা ফোর্সকে। ঝাড়খণ্ডের মতো মাওবাদী হামলা প্রবণ এলাকায় কোবরা বাহিনী বিশেষ পারদর্শী। অন্যদিকে মাওবাদীদের জারি করা বার্তায় পরিষ্কার তারা লাতেহার মতো পরবর্তী হামলার জন্য তৈরি। সংগঠনের গোপন বৈঠকে দায়িত্ব পেয়েছেন কাঞ্চন। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে নিজের উপস্থিতি বজায় রাখতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*