ইটের পাঁজার নীচে পড়ে রয়েছে একটি শিশুর থেঁতলানো ক্ষতবিক্ষত নগ্ন দেহ

Spread the love

মন্দিরের পাশের দু’কামরার ছোট্ট দোকান ঘরে ঢুকতেই শিউড়ে উঠলেন এলাকার বাসিন্দারা। ইটের পাঁজার নীচে পড়ে রয়েছে একটি শিশুর থেঁতলানো ক্ষতবিক্ষত নগ্ন দেহ। মাথা থেকে বুক পর্যন্ত ইঁট চাপিয়ে দেহটি আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে। মাথা মোড়া রয়েছে পলিথিনে।

গুঁরগাওয়ের গুগা কলোনির এই ঘটনায় হতভম্ব গোটা দেশ। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গেছে শিশুটির উপর নির্মম ভাবে যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে। তার যৌনাঙ্গে ঢোকানো ছিল একটি ১০ সেন্টিমিটার লম্বা কাঠ। সারা দেহে অজস্র ক্ষত চিহ্ন। দেহ উদ্ধারের সময় দোকানের মেঝেতে পড়েছিল চাপ চাপ রক্ত।

অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরার ধর্ষণের কথা শিকার করেছে সে। নাম সুনীল কুমার। উত্তরপ্রদেশের মথুরার বাসিন্দা সুনীল পেশায় শ্রমিক। গত সপ্তাহে মা ও দুই বোনকে নিয়ে গুঁরগাওতে আসে। পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) শামসের সিংহ জানিয়েছেন,  চকোলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে দোকানঘরের মধ্যে ডেকে নিয়ে যায় সুনীল। সেখানেই তার উপর যৌন নির্যাতন চালায়। পরে মাথা থেঁতলে খুন করে ফেলে রেখে দিয়ে যায়। সকাল ৮টা নাগাদ শিশুটির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও স্থানীয়রা।
ময়নাদতন্তের দায়িত্বে থাকা ডঃ দীপক মাথুরের কথায়, “মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত ও অধিক রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। তার যৌনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত ছিল। তাতে ঢোকানো ছিল একটা কাঠের টুকরো।” মাথুর জানিয়েছেন, শুধু ধর্ষণ নয় তাকে মারধরও করে অভিযুক্ত। সারা শরীরে অসংখ্য ক্ষতের দাগ ছিল। বুক, পেট, কোমড়, কাঁধ ও পিছনে ছিল আঁচড়ের দাগ। নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে শিশুটিকে।

শিশু অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় ও পকসো আইনের(Protection of Children from Sexual Offences (POCSO) ৬ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। গুরগাঁও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান শকুন্তলা ঢাল বলেছেন, চলতি বছরে প্রায় ১০৬টি শিশু ও নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরেই ঘটেছে ২০টি ধর্ষণের ঘটনা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*