মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়া ধৃত হাফিজুল কে? তিনি কি সত্যিই মানসিকভাবে অসুস্থ, নাকি এই মুখোশের আড়ালে অন্য এক মুখ? বসিরহাটের হাসনাবাদ থানর আশারিয়া নারায়ণপুরের বাসিন্দা বছর ৩০ এর যুবক হাফিজুল মোল্লা। স্ত্রী জেসমিনা বিবি, বাবা মনিরুল মোল্লা, মা সেলিমা বিবি, দাদা মইদ্দিন মোল্লা গোটা পরিবারই বামপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী। তবে কয়েক বছর ধরে তৃণমূল করছে পরিবার। বাবা মনিরুল মোল্লা দীর্ঘদিনের সিপিএমের কর্মী। এমনকী সিপিএমের নেতৃত্বের দায়িত্বেও ছিলেন। হাফিজুল সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। তারপর বাড়িতে বসে বিড়ি বাধার কাজ, আবার কখনও রাস্তার তৈরির মজুরির কাজও করত। কিন্তু গত ছমাস আগে পরিবারের সঙ্গে অশান্তি করে কলকাতায় চলে যান। কলকাতায় গাড়ি চালানোর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সমস্ত রহস্য।
ইতিমধ্যে সাত দিনের পুলিস হেফাজতে নেওয়া হয়েছে তাকে। এর আগেও নবান্নে ঢুকতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিল হাফিজুল। ফের আবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে গভীর রাতে ঢুকে যায়। গাড়ির পিছনে সাত ঘণ্টা কাটানোর পর সকালবেলায় পুলিসের নজরে আসে। কঠোর নিরাপত্তা বলয় এড়িয়ে কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান কার্যালয় নবান্ন ও মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন হরিশ চ্যাটার্জি স্টিটে পৌঁছে যাওয়া। সত্যিই কি মানসিক অসুস্থতা?
প্রশ্ন উঠছে কেন বারবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ছুটে যাওয়া? এর পিছনে বড় কোনও মাথা কাজ করছে না তো? এই ঘটনায় ইতিমধ্যে সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ি ও নবান্নে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। বুধবার লালবাজার থানার পুলিসের একটি প্রতিনিধি দল হাফিজুলের বাড়িতে গিয়ে কথা বলে। তাঁর সমস্ত তথ্য বা নাম ও পরিচয় নিজেরদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিস। হাফিজুলের বন্ধু শফিকুল জানান, কেন বারবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাচ্ছে, তা বুঝতে পারা যাচ্ছে না। হাফিজুলের মাথা একটু খারাপ আছে। তবে এর পিছনে আসল রহস্য কী, তার জন্য সময়ের অপেক্ষা।
Be the first to comment