জীবনকৃতি পুরস্কারে সম্মানিত হলেন কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী হৈমন্তী শুক্লা

Spread the love

ছবি- রাজীব মুখোপাধ্যায়,

২০০২ সাল থেকে মুম্বইয়ের জনপ্রিয় সুরকার অরূপ ব্যানার্জি মুম্বাই, দিল্লি ও কলকাতায় “রিমঝিম মধুর সঙ্গীত পুরস্কার” চালু করেন। এই পুরস্কারের তালিকায় কুমার শানু, উদিত নারায়ণ, কবিতা কৃষ্ণমুর্তি, লীনা চেন্দ্রভরগার, রবীন্দ্র জৈন, সাধনা সরগম, টিনা ঘাই, জয় সরকার, অনন্যা চ্যাটার্জি, স্বাগতালক্ষী, ইন্দ্রানী সেন, মমতা শঙ্কর, সবিতা চৌধুরী থেকে আরও অনেক বড় তালিকা আছে। এবছর রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে ২১শে এপ্রিল “রিমঝিম মধুর সঙ্গীত পুরস্কার ২০১৯” অনুষ্ঠান হয়ে গেল। এবার পুরস্কার প্রাপকের তালিকায় ছিলেন কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী হৈমন্তী শুক্লা (জীবনকৃতি)।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক এম এ আলমগির (জীবনকৃতি), বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা ও সাংসদ সদস্যা সারাহ বেগম কবরী (জীবনকৃতি), বাংলাদেশের সত্ত্বা সিনেমার কাহিনীকার সোহানী হোসেন, বাংলাদেশের সত্ত্বা সিনেমার পরিচালক হাসিবুর রেজা কল্লোল, বাংলাদেশের নায়ক বাপি চৌধুরী, বাংলার সঙ্গীত শিল্পী রাঘব চট্টোপাধ্যায়, নির্দেশক রেশমি মিত্র, অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী, অভিনেতা খরাজ মুখার্জি, প্রযোজক ঈশিতা সুরানা, অম্বরনাথ ভট্টাচার্য, তপন রায় সহ অনেকে।

অনুষ্ঠানে এসে হৈমন্তী শুক্লা বলেন, পুরস্কার পেতে তো ভালোই লাগে কিন্তু যখন জীবনকৃতি দেওয়া হয় তখন মনে হয় কেউ বোধহয় বলছে এবার ছেড়ে দিতে। কিন্তু আমি এখন ছাড়ছি না, আমার ভাই অরূপ যদি আমায় নিয়ে কোন গান তৈরি করে আমি রাজি আছি করতে তবে সেই গান সেরকম হতে হবে। খালি গলায় তিনি তিনটি গানের অন্তরা শুনিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে দেন।

অভিনেতা খরাজ মুখার্জি আবৃত্তি করেন এবং পরে দর্শকদের অনুরোধে গানও গান। অভিনেতা আলমগির বলেন, আমি মনে করি না আমার জীবনকৃতি নেওয়ার মত বয়স হয়েছে, এখনও কাজ করে যেতে চাই। এরপর তিনি কয়েক কলি গানও শোনান। “তিস্তা নদীর পারে” সিনেমার অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী বলেন, কলকাতায় আমি বহুবার এসেছি, ছবি করেছি। কলকাতা আমার বাসা। এরপর তিনি “স্বাধীনতা” কবিতা আবৃত্তি করে শোনান।

সবশেষে অরূপ ব্যানার্জি বলেন, বর্তমানে সুর হারিয়ে যাচ্ছে, তাল হারিয়ে যাচ্ছে, লয় হারিয়ে যাচ্ছে। একসময় আর.ডি.বর্মন, কিশোর কুমার, মহঃ রফি, মান্না দে, হেমন্ত মুখার্জি, সলীল চৌধুরী যা দিয়ে গেছেন তা এখনও পুরানো হয়নি। আজও তা অনেক জায়গায় শোনা যায়। আমি চাই নতুন প্রজন্ম সেই ধারাকে বজায় রেখে ভারতের ও বাংলার সংস্কৃতিকে অব্যাহত রাখবে।

দেখুন ছবি!

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*