দেশে শরিয়ত আদালত খোলার প্রস্তাবকে সমর্থন করলেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। তাঁর যুক্তি, সব সম্প্রদায়ের নিজস্ব আইন চর্চার অধিকার রয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি বলেন, সামাজিক প্রথার সঙ্গে আইনি ব্যবস্থাকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে অনেকে। আমাদের আইনেই রয়েছে, প্রতিটি সম্প্রদায়ের নিজস্ব নিয়মনীতি রয়েছে। নিজস্ব আইন চর্চা করতে পারে তারা।
সম্প্রতি দেশের প্রতিটি জেলায় শরিয়ত আদালতের প্রস্তাব দিয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। সেই প্রস্তাব নিয়ে হয় বিস্তর জলঘোলা। বিজেপির মুখপাত্র মীনাক্ষি লেখি বলেন, ‘এটা ইসলামিক প্রজাতন্ত্র নয়।’ শরিয়ত আদালতের প্রস্তাব খারিজ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু শরিয়ত আদালতের পক্ষেই জোরাল সওয়াল করলেন প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি।
২০১৯ সালে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘হিন্দু পাকিস্তান’ তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন শশী থারুর। এই কংগ্রেস সাংসদের পাশে দাঁড়িয়েছেন হামিদ আনসারি। তাঁর কথায়, ”আমি জানি না থারুর কী বলেছে। কিন্তু উনি শিক্ষিত মানুষ, লেখক এবং সাংসদ। বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রধান তিনি। অনেক ভাবনাচিন্তা করেই কথা বলেছেন”।
সাম্প্রতিককালে হোয়াটসঅ্যাপে গুজবের মাধ্যমে গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে হোয়াটসঅ্যাপকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। হামিদ আনসারির কথায়, ”আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। এদেশে আইনের শাসন রয়েছে।”
প্রাক্তন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী-সকলেই বেশ সপ্রতিভ টুইটারে। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় নেই হামিদ আনসারি। ভবিষ্যতে কি তাঁকে দেখা যাবে? প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির প্রতিক্রিয়া, ”টুইটারে যোগ দেওয়ার কোনও ইচ্ছাই আমার নেই। প্রযুক্তির ব্যাপারে আমি এখনও বিংশ শতাব্দীতে পড়ে রয়েছি। আমার কম্পিউটার ও বই রয়েছে। এনিয়েই খুশি”।
Be the first to comment