৭৩ তম সাধারণতন্ত্র দিবসে ভারতীয় গণতন্ত্রের সমালোচনা করলেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। মানবাধিকার, নাগরিক স্বাধীনতা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় ভারতের সাম্প্রতিক রেকর্ডের সমালোচনা করেন একজন মার্কিন সিনেটর, তিন মার্কিন কংগ্রেসম্যান, মার্কিন কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম এর চেয়ারম্যান এবং ভারতের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হামিদ আনসারি। ভারত তার সাংবিধানিক মূল্যবোধ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন তাঁরা।
গতকাল ইন্দো আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিলের একটি ভার্চুয়াল প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ হামিদ আনসারি। সেই আলোচনা সভায় দেশে হিন্দু জাতীয়তাবাদের উত্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি সেখানে বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বিভিন্ন প্রবণতা এবং অনুশীলনের উত্থানের অভিজ্ঞতা আমাদের হয়েছে যা নাগরিক জাতীয়তাবাদের সুপ্রতিষ্ঠিত নীতিকে বিনষ্ট করে এবং সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের একটি নতুন এবং কাল্পনিক অনুশীলনকে অন্তর্ভূক্ত করে।
তিনি আরও বলেছেন যে, এটি ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং একচেটিয়া রাজনৈতিক ক্ষমতার ছদ্মবেশে একটি নির্বাচনী সংখ্যাগরিষ্ঠতা উপস্থাপন করতে চায়। এটি নাগরিকদের তাদের বিশ্বাসের ভিত্তিতে আলাদা করতে চায়, অসহিষ্ণুতা বাড়াতে চায় এবং অস্থিরতা ও নিরাপত্তাহীনতা প্রচার করতে চায়। তিনি আরও বলেছেন, সাম্প্রতিক আইনের শাসনের ধারাগুলি পরিচালিত হওয়ার আমাদের দাবিগুলিকে খারাপভাবে প্রতিফলিত করে। এই প্রবণতাগুলির আইনিভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এবং রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দরকার।
আনসারির বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকবি। তিনি বলেছেন যে, মোদীকে আক্রমণ করার প্রবণতা ভারতকে আক্রমণ করার ষড়যন্ত্রে পরিণত হচ্ছে। কেউ যদি মোদীকে আক্রমণ করতে করতে ভারতে আসেন তাহলে এরকম কথা শোনা যায়। তিনি আরও বলেন যে, যাঁরা আগে সংখ্যালঘু ভোটের সুযোগ নিতেন তাঁরা এখন দেশের শান্তিতে সহাবস্থানের পরিবেশন প্রকাশ্যে আসার ভয় পাচ্ছেন। উল্লেখ্য, প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির এহেন মন্তব্যে মোদী সরকার তথা দেশ কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে। এর জেরে পাল্টা বিতর্কও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
Be the first to comment