হাঁসখালির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গোয়ারীকে সোমবার রানাঘাট আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিন নিহত নাবালিকার বাবা-মা এবং এক গ্রামীণ চিকিৎসকের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয় রানাঘাট আদালতে।ওই চিকিৎসকই ৪ এপ্রিল রাতে ওই কিশোরীর জন্য পেটের ব্যাথার ওষুধ দিয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, নাবালিকার বাবা-মা কেন এতবড় ঘটনার পরও পুরো বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন তা জানতে চাওয়া হয় গোপন জবানবন্দিতে। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তাঁরা পুরো ঘটনাটির বিবরণ দিয়েছেন।
একইসঙ্গে অভিযোগ, ওই গ্রামীণ ডাক্তার নাবালিকাকে না-দেখেই ওষুধ দিয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে, কোন চাপের মুখে পড়ে নাবালিকার পরিবার মৃত্যুর পর আত্মীয়স্বজনদের খবর না দিয়ে ভোররাতে স্থানীয় একটি শ্মশানে তাকে দাহ তাকে দাহ করল? সোমবার একই প্রশ্ন কলকাতায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ঘটনা ঘটল ৪ তারিখ। পাঁচদিন পর কেন পুলিসে অভিযোগ করা হল? কেন সাত তাড়াতাড়ি দেহটি পুড়িয়ে দেওয়া হল? স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই শ্মশানটি সরকার স্বীকৃতও নয়। এমনকী ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই মৃত-ধর্ষিতা কিশোরীকে দাহ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
এদিন এই ঘটনার প্রতিবাদে হাঁসখালিতে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দেয় বিজেপি। বনধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সকাল থেকেই বন্ধ ছিল দোকানপাট। বগুলা বাজার এলাকায় কিছু দোকান বন্ধ, কিছু খোলা। সেখানে অটো-বাস সবই চলছে। তবে বেশকিছু জায়গায় বেলা বাড়তেই খুলছে বাজারহাট। অপরদিকে, গাজনা পঞ্চায়েত এলাকায় ভালোই সাড়া পড়েছে।
Be the first to comment