ছবি সৌজন্যে- এএনআই
হনুমান দলিত না আর্য? কে ঠিক, যোগী আদিত্যনাথ না কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সত্যপাল সিং? শেষ পর্যন্ত জাতপাতের যাঁতাকলে আটকা পড়তে হল বজরংবলীকেও। বুক চিরে তবুও না হয় নিজের রাম ভক্তির প্রমাণ দিয়েছিলেন। কিন্তু জাতের প্রমাণ দিতে হলে বোধহয় ‘কাস্ট সার্টিফিকেট’ নিয়েই ঘুরতে হত তাঁকে।
কর্নাটকে নির্বাচনের সময়েও হনুমানকে সেখানকার আদি বাসিন্দা বলে বিতর্ক বাঁধিয়ে ছিলেন যোগী। ফের রাজস্থানে ‘দলিত আদিবাসী’। আবার নতুন বিতর্ক। ইতিমধ্যেই ভুল স্বীকার করে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়া দাবি তুলেছে ‘রাজস্থান সর্ব ব্রাহ্মণ মহাসভা’। কিন্তু হিন্দু ধর্মের ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডার যোগী আদিত্যনা! বলাই বাহুল্য, ভুল স্বীকার নিতান্ত অপমানজনক।
সেই বিতর্কে আরও বাড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সত্যপাল সিং। তাঁর দাবি, রামায়ণের যুগে ভারতে কোনও জাতপাতের ভাগ ছিল না। কোনও দলিত, আদিবাসী, বঞ্চিত, শোষিত কিছুই ছিল না। বাল্মীকির রামায়ণ ও রামচরিত মানস পড়লেই জানা যাবে সেসব। ভগবান রাম কিংবা হনুমান সবাই ছিলেন আর্য।
অন্যদিকে যোগীর বক্তব্যে পরেই জাতীয় তফশিলি উন্নয়ন কমিশনের চেয়ারম্যান নন্দকুমার সাঁই হনুমানকে দলিত নয় আদিবাসীদের ভগবান বলে ঘোষণা করেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে পরের দিনই হনুমানকে আর্য বলে দাবি করেন সত্যপাল সিং।
Be the first to comment