দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল কংগ্রেস নেতা হার্দিক প্যাটেলকে। শনিবার এক দায়রা আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ২০১৫ সালের একটি দেশদ্রোহিতার মামলায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বারবার অনুপস্থিত থাকার পর আদালত হার্দিককে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়।
অতিরিক্ত দায়রা বিচারক বি জে গানাত্রা হার্দিকের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। শুনানি চলাকালীন নানা সময়ে হার্দিকের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সরকারি কৌঁসুলি। তিনি বলেন, হার্দিক জামিনের শর্ত ভঙ্গ করেছেন। পাশাপাশি দ্রুত শুনানির জন্য কোর্ট তাঁর উপস্থিতি ও সহযোগিতাকে বাধ্যতামূলক করেছিল। তাও মেনে চলেননি হার্দিক । তিনি শুধু শুনানি বিলম্বিত করতে চাইছেন।
২০১৫ সালের জুলাই মাসে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার জনগণ পাতিদার সংরক্ষণ আন্দোলন করেছিলেন। সরকারি চাকরিতে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সংরক্ষণের দাবিতে এই আন্দোলন হয়। সেইসময় বিজেপি বিধায়কের অফিসে হামলা হয়। অনেকে প্রাণ হারান। ঘটনায় পাতিদার আনামত আন্দোলন সমিতি(PAAS)-র নেতা সহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। হার্দিক প্যাটেল সহ অনেকের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ, রাষ্ট্রদ্রোহ ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তখন হার্দিক প্যাটেলকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে তিনি জামিন পেয়ে যান।
ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দীনেশ ভাম্বাভানিয়া ও চিরাগ প্যাটেল আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বারবার শুনানির সময় অনুপস্থিত ছিলেন হার্দিক প্যাটেল। আজ দায়রা বিচারক হার্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ২৪ জানুয়ারি আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর আজই বিরমগ্রামের হাসলপুরের কাছে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।
Be the first to comment