হরিয়ানা নির্বাচনের আগে বহু রাজনৈতিক দলের নেতারা তাচ্ছিল্য করে বলেছিলেন ‘শিশুদের দল’। কিন্তু, ভোটের ফল সামনে আসতেই বদলে গেল গোটা ছবি। দুস্মন্ত চৌতালার জননায়ক জনতা পার্টি হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে উঠে এল নির্ণায়ক ভূমিকায়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে জেজেপি সুপ্রিমো দুস্মন্ত চৌতালার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য শিরোমণি অকালি দল তথা পঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল এবং তাঁর পুত্র সুখবীর সিংহকে পাঠালেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
হরিয়ানার ৯০টি আসনের মধ্যে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ১০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে জেজেপি। বিজেপি এগিয়ে ৩৯টি আসনে এবং কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৩৩টি আসনে। তাই ৪৫ আসনের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছানোর জন্য তুরুপের তাস হতে পারে চৌতালার জননায়ক জনতা পার্টি। তবে ভোট গণনা এগোনোর সঙ্গে সঙ্গেই আরও পরিস্কার হবে হরিয়ানার মসনদে কে আসতে চলেছেন।
এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের চৌতালা জানান, ‘ভোটের আগে আমাদের কেউই গুরুত্ব দিতে চায়নি। আমাদেরকে “শিশুদের পার্টি” বলেও তাচ্ছিল্য করা হয়। হরিয়ানার মানুষের ভালবাসা আর সমর্থনেই আমরা এত গুলো আসনে এগিয়ে আছি। আমাদের গুরুত্ব না দেওয়ার মাশুল গুনছেন বহু রাজনীতিকরা। অনেক তাবড় নেতারাই আমাদের দলের নেতাদের থেকে পিছিয়ে রয়েছেন। বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসও চৌটালার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে খবর। তবে কোন দলকে সমর্থন জানাবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে চৌটালার উত্তর, “এখনই বলাটা খুব মুশকিল। ভোট গণনার এখন অনেকগুলো রাউন্ড বাকি।
রাজনীতির ময়দানে হঠাৎই উত্থান জেজেপি সুপ্রিমো দুষ্মন্ত চৌতালার। এই মাসে বিধানসভা নির্বাচন ছিল তাঁর কাছে নিজের ক্ষমতা পরীক্ষার সুযোগ। জাট আর সংখ্যালঘু সমর্থনে ভোটের কি সমীকরণ দাঁড়ায় তা নিয়ে উদগ্রীব ছিল গোটা ভারতবর্ষ। আর ভোটের ফল সামনে আসতেই ধীরে ধীরে পরিস্কার হতে শুরু করে হরিয়ানার রাজনীতিতে নির্ণায়ক শক্তি হিসাবে সামনে আসতে চলেছে জেজেপি।
সমর্থন চেয়ে চৌতালার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে কংগ্রেসেও। আর এখানেই রাজনৈতিক সমীকরণে অন্য কোনও মোড় আসতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রাক্তন ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী দেবী লালের সঙ্গে কংগ্রেসের যোগ সুবিদিত। তাঁরই প্রপ্রৌত্র জেজেপি সুপ্রিমো দুশ্মন্ত চৌটালা। তাই কংগ্রেসের সঙ্গেও জোট গড়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
Be the first to comment