হরিয়ানা গণধর্ষণ কাণ্ডে তিন অভিযুক্তের মধ্যে মূল পাণ্ডা গ্রেফতার হয়েছিল আগেই। নাম ছিল নিশু ফোগাট। কিন্তু অধরা ছিল আর দুই অভিযুক্ত। এ বার পুলিশের জালে পাকড়াও হলো তারা। এদের মধ্যে একজনের নাম পঙ্কজ। যিনি আবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ান। ধরা পড়েছেন তৃতীয় জনও। নাম মনোজ। হরিয়ানা পুলিশের চিফ বি এস সান্ধু জানিয়েছেন, গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত তিনজনেই গ্রেফতার হয়েছে।
হরিয়ানার রেওয়াড়ি জেলায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন সিবিএসই–র দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় প্রথম হওয়া তরুণী। ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন বছর উনিশের ওই তরুণী। ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রক্তাক্ত এবং অচৈতন্য অবস্থায় একটি বাস স্ট্যান্ড থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। পুলিশের কাছে নির্যাতিতা অভিযোগ জানিয়ে বলেছিলেন, কোচিং ক্লাস থেকে বাড়ি ফেরার সময় তিনজন দুষ্কৃতী গাড়ি করে তুলে নিয়ে যায় তাঁকে। একটি পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন চালানো হয় তাঁর উপর। সেখানে ছিল আরও কয়েকজন দুষ্কৃতী। পুলিসের কাছে নির্যাতিতা জানিয়েছিলেন, তাঁর গ্রামের লোকেরাই এই কাজ করেছে।
এরপর হরিয়ানা সরকারের তরফে নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছেছিল ক্ষতিপূরণের চেক। কিন্তু সেই চেক ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নির্যাতিতার মা। দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছিলেন, ক্ষতিপূরণ নয়, মেয়ের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিচার চান তিনি। দাবি করেছিলেন অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে পাকড়াও হয়েছিল হরিয়ানা গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল পাণ্ডা নিশু ফোগাট।
পুলিশ জানিয়েছিল, নিশুই গোটা ঘটনার পরিকল্পনা করেছিল। এবং ঘটনাস্থলে ডেকে এনেছিল এক ডাক্তারকেও। সিটের চিফ নাজনীন ভাসিন জানিয়েছিলেন, তরুণীর ধর্ষণের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন ওই ডাক্তার। এই ডাক্তার এবং যে জমি থেকে তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে সেই জমির মালিককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Be the first to comment