তিব্বতে ধস নেমে আটকে গিয়েছে নদীর গতিপথ। তার ফলে যে কোনও সময় হড়পা বান আসার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের দুই রাজ্য অসম ও অরুণাচল প্রদেশে। দুই রাজ্যের সরকার জারি করেছে হাই অ্যালার্ট ।
চিন থেকে ভারত সরকারকে জানানো হয়েছে, গত বুধবার তিব্বতে ধস নেমে ইয়ারলুং সাংপো নদীর গতিপথ রুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। তার ফলে সৃষ্টি হয়েছে কৃত্রিম হ্রদ। যে কোনও সময় হ্রদ উপচে যেতে পারে। তখন সাংপো নদীর জলে ভাসবে অসম ও অরুণাচল।
তিব্বতে যে নদী সাংপো নামে পরিচিত, অরুণাচলে তারই নাম সিয়াং। অসমে তার নাম ব্রহ্মপুত্র। নদীর জলপ্রবাহ এখন ধস নেমে আটকে পড়েছে। ফলে ভারতে ব্রহ্মপুত্রে এখন জলপ্রবাহ কম। কিন্তু ওই পাথর ফাটিয়ে যে কোনও সময় হু হু করে নেমে আসবে বিপুল পরিমাণ জল। ধসের ফলে যে পরিমাণ জল আটকে আছে, তা যদি একসঙ্গে নেমে আসে তাহলে হড়পা বান অবশ্যম্ভাবী।
কেন্দ্রীয় জল কমিশন থেকে অসম সরকারকে জানানো হয়েছে, চিনে ওই কৃত্রিম হ্রদে জলের পরিমাণ প্রতি সেকেন্ডে বাড়ছে ৮০ হাজার কিউবিক মিটার করে। হ্রদের আশপাশ থেকে চিন ইতিমধ্যে সরিয়ে এনেছে ছয় হাজার মানুষকে।
অসম সরকার উজান অসমের ডিব্রুগড়, ধেমাজি, লখিমপুর এবং তিনসুকিয়া জেলার মানুষকে জানিয়েছে, সম্ভাব্য বন্যার জন্য প্রস্তুত থাকুন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা টিমকেও পাঠানো হয়েছে অসমে।
Be the first to comment