হাথরসের নির্যাতিতার দেহ রাতারাতি দাহ করে পুলিশ। অভিযোগ, রাতে মৃতদেহ সৎকারে সম্মতি ছিল না পরিবারের। এই নিয়ে সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্টে বয়ান দেবে পরিবার। সে’রাতে কী ঘটেছিল তা আদালতের লখনউ বেঞ্চে জানাবে। এদিকে হাথরসের প্রসঙ্গ টেনে আজ যোগী সরকারকে আবার আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। টুইটে লেখেন, অনেক ভারতীয়ই দেশের দলিত, মুসলিম এবং আদিবাসী সম্প্রদায়কে মানুষ বলে মনে করেন না।
নির্যাতিতার ভাই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রশাসন আমাদের প্রশ্ন করেছিল আমরা কতজন ১২ অক্টোবরের শুনানিতে থাকতে চাই। আমার বাবা, মা, বোন, ভাই এবং আমি আদালতে শুনানিতে উপস্থিত থাকব। হাথরস থেকে লখনউ যাওয়ার পথে আমাদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
হাইকোর্টের তরফে হাথরসের জেলার বিচারককে যোগাযোগ করা হয়। নির্যাতিতার পরিবার যাতে আদালতে বয়ান রেকর্ডে আসে তা নিশ্চিত করতে বলে। রাজ্য এবং জেলা প্রশাসনকেও তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়।
১ অক্টোবর আদালত জানিয়েছিল, নির্যাতিতা এবং পরিবারের সদস্যদের মৌলিক অধিকার খর্ব হয়েছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমগুলিকেও সেই ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ এবং তথ্য জমা করতে বলে আদালত।
হাথরসের যুবতিকে গণধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে চারজনের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। ঘটনার ১৫ দিন পর ২৯ সেপ্টেম্বর দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু হয় যুবতির। পুলিশ ওই নির্যাতিতার দেহ রাতারাতি দাহ করে। অভিযোগ, সেই সময়ে নির্যাতিতার পরিবারকে বাড়িতে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। এরপর জল আরও অনেক দূর গড়িয়েছে । বারবার কাঠগড়ায় উঠেছে যোগী প্রশাসন । উত্তরপ্রদেশে জাতিভেদ প্রথার নজির প্রকাশ্যে এসেছে। এই নির্যাতিতাও দলিত পরিবারের এবং অভিযুক্তরা উচ্চবর্ণীয়।
আজ সকালে হাথরসের নির্যাতিতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে যোগী সরকারকে আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধি । হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি । বাধার মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে । রাহুল লেখেন, “অনেক ভারতীয় দলিত, মুসলিম এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোককে মানুষ বলে মনে করেন না । এটি লজ্জাজনক সত্যি । তাই মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর পুলিশ বলেছিল, কেউ ধর্ষণ হয়নি । কারণ তাদের জন্য এবং অনেক ভারতীয়র জন্য নির্যাতিতা ‘কেউ ছিলেন না ‘ ।”
Be the first to comment