প্রবল চাপের মুখে অবশেষে হাথরস কাণ্ডে তৎপরতা যোগী সরকারের। শনিবার উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজিপি ও পুলিশের শীর্ষকর্তারা হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে গিয়ে কথা বললেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ শুনলেন তাঁরা। তাঁদের আইনি সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা।
হাথরসের নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। শনিবারই হাথরস যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। ৩৫ সাংসদকে সঙ্গে নিয়ে হাথরসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে রাহুল গান্ধীর কনভয়।ঘটনার পর নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন হাথরসের জেলাশাসক। অভিযোগ, পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বদলে তিনি নির্যাতির পরিবারকে হুমকি দেন। এমনকী জেলাশাসকের বিরুদ্ধে নির্যাতিতার বাবাকে লাথি মারার অভিযোগও ওঠে।
যোগী সরকারের বিরুদ্ধে দোষীদের আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। যোগী সরকারের প্রশাসনের উচ্চপদস্থ একাধিক কর্তা ন্যায়বিচারের ব্যবস্থার বদলে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে অভিযোগ বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে বিশিষ্টদের একটি বড় অংশের।
দলিত কন্যার মৃত্যুর পর থেকে তাঁর পরিবারকে অনবরতর ফোনে ও দেখা করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। তরুণীর মৃত্যুর পর থেকে তাঁর বাড়িটি কার্যত ঘিরে রেখেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। গত কয়েকদিন এলাকায় সংবাদমাধ্যমকেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যেতে পারেননি কোনও রাজনৈতিক নেতারাও।
Be the first to comment