মাসানুর রহমান,
আবারও শিরোনামে দক্ষিণ কলকাতার জিডি বিড়লা হাইস্কুল। এবার এক মর্মান্তিক ও রহস্যময় ঘটনা। আজ জি ডি বিড়লা স্কুলের শৌচাগার থেকে মৃতপ্রায় অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এক দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে। পরে মৃত্যু হয় তার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর নাম কৃতিকা পাল। তার বাড়ি রাণিকুঠি এলাকায়। তার বাঁ’হাতের শিরা কাটা ছিল ও মুখ প্লাস্টিক জাতীয় কিছু দিয়ে বাঁধা ছিল। ঘটনাসূত্রে জানা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুলের শৌচাগার থেকে উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার একটি নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়ার পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
স্কুলের তরফ থেকে জানা যায়, শুক্রবার বেলা দেড়টার সময় কৃতিকা স্কুলের শৌচাগারে যায়। কিন্তু দুপুর ২টো ১০ বেজে যাওয়ার পরেও সে না ফেরায় এক শিক্ষিকা শৌচাগারে যান। সেখানে গিয়ে শৌচাগারের জানলা দিয়ে তিনি দেখতে পান, রক্তাক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে সে। সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে ডেকে আনেন তিনি। তারপরেই দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করা হয় তাকে।
ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি, ডিসি সাউথ ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্তারা। স্কুলে এসে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছে কৃতিকা। মুখে প্লাস্টিক বেঁধে বাম হাতের শিরা কেটে জলে মুখ ডুবিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে সে। ছাত্রীটির কাছ থেকে তিন পাতার একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে। জিডি বিড়লার মতো এত বড় স্কুলে একজন ছাত্রী শৌচাগারে ঢুকে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করল, অথচ সেটা কেউ টেরও পেল না, এটা কি সম্ভব? স্কুলের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।
Be the first to comment