হায়দরাবাদে মহিলা চিকিত্সককে গণধর্ষণ করার ঘটনায় অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের পর ২০১২ সালের দিল্লি গণধর্ষণে ৪ দোষীকে শীঘ্রই ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে ৷ নির্ভয়াকাণ্ডের দোষী ৪ জনই এখন তিহার জেলে রয়েছে ৷ কিন্তু সমস্যা হল, তিহার জেলে কোনও জহ্লাদ নেই, যিনি এই ৪ জনকে ফাঁসি দেবেন ৷ তিহার জেলে কোনও স্থায়ী জহ্লাদ নেই ৷ ফলে কোন জহ্লাদ নির্ভয়া গণধর্ষণের ৪ দোষীদের ফাঁসি দেবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তামিলনাড়ুর রামনাথপুরম জেলার এক হেড কনস্টেবল নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের সাজা দেওয়ার জন্য জল্লাদ হতে রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন ৷
সুভাষ শ্রীনিভাস জেলের ডিজিপি-কে একটি চিঠি লিখে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি তিহার জেলে জল্লাদ হিসেবে কাজ করতে ইচ্ছুক ৷’ পাশাপাশি তিনি আরও জানান এই কাজ করার জন্য তার কোনও পারিশ্রমিক লাগবে না ৷ তিহার জেলে জল্লাদ নেই জানতে পেরে এই কাজ করার আগ্রহ জানিয়েছেন তিনি ৷
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সালে ৩ নম্বর সেলে ফাঁসি হয়েছিল আফজল গুরুর ৷ তিহারে শেষ ফাঁসি হয়েছিল আফজল গুরুরই ৷ কিন্তু আফজল গুরুকে কে ফাঁসি দিয়েছিলেন তার নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি ৷ এর আগে ১৯৮৯ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকারীদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল ৷ সেই সময় জল্লাদের নাম ছিল কালু ও ফকিরা ৷ এরপর তিহার জেলে আর কারোর ফাঁসি হয়নি ৷
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লিতে মুনিরকা এলাকায় চলন্ত বাসের ভিতরে ২৩ বছর বয়সি প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে ছয় দুষ্কৃতী। মারা যান ওই ছাত্রী। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচ জনের ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। এক দুষ্কৃতী নাবালক হওয়ার কারণে জুভেনাইল হোমে বন্দি থাকার পরে মুক্তি পায়। বাকি পাঁচ জনের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত রাম সিং জেলের ভিতরে আত্মহত্যা করে।
Be the first to comment