রোজদিন ডেস্ক:- আরও একবার পিছিয়ে গেল আরজি কর মামলার শুনানি। মঙ্গলবার দুপুর ৩টেয় এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে শুনানি স্থগিত করে দেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালত সূত্রের খবর, আগামীকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় আরজি কর মামলার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। কী কারণে এদিন শুনানি পিছিয়ে গেল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে আদালতের একটি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবনের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধান বিচারপতি-সহ অন্য বিচারপতিদের। সেই কারণে এদিন নির্ধারিত সময়ের আগেই মামলার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায়। একাধিক মামলা থাকায় মূলত সে কারণেই এদিন স্থগিত হয়ে যায় আরজি করের শুনানি।
প্রসঙ্গত, আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার ছিল। শুধু আরজি কর নয়, অতীতেও একাধিক ঘটনায় বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের একাংশের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে গত ১৫ অক্টোবর আরজি কর মামলার শুনানি চলাকালীন সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে।
সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের পদ্ধতি, আইন মেনে আদৌ নিয়োগ হয়েছে কিনা, নিয়োগের যোগ্যতার মাপকাঠি কী ইত্যাদি ব্যাপারে আগেই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল শীর্ষ আদালতের তরফে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় রাজ্যের কাছে এও জানতে চেয়েছিলেন, মাস শেষে কীভাবে বেতন দেওয়া হয় সিভিকদের? কোন প্রতিষ্ঠানে তাঁদের নিয়োগ করা হচ্ছে? আগে কারও বিরুদ্ধে অপরাধের ইতিহাস রয়েছে কি না?
মঙ্গলবার শুনানি শুরুর আগে হলফনামা আকারে এ ব্যাপারে পুঙ্খানপুঙ্খ তথ্য আদালতে জমা দিয়েছে রাজ্য। সূত্রের খবর, জমা দেওয়া হলফনামায় রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে রাজ্যের নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। তাঁদের কাজ পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার।
কী কারণে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ, তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, পুলিশকে সহযোগিতার জন্যই সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের ভাবনা। সিভিক ভলান্টিয়াররা কত বেতন পান, ক’দফায় তাঁদের বেতন বাড়ানো হয়েছে- এসবও উল্লেখ রয়েছে হলফনামায়। এমনকী রাজ্যের তরফে আদালতকে লিখিতভাবে এও জানানো হয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে ইতিমধ্যে তিন মাসের ট্রেনিংও শুরু হয়েছে।
তবে শেষ পর্যন্ত শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ নির্যাতিতার পরিবার থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, দেখতে দেখতে ৮৮ দিন অতিক্রান্ত। এভাবে একটা করে দিন চলে যাচ্ছে। দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করা হোক। তাঁরা এও বলেন, আদালতের ওপর আস্থা, ভরসা রয়েছে। সেটা যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, সেটাও যেন গুরুত্ব দিয়ে দেখেন বিচারপতিরা।
Be the first to comment