যত সময় যাচ্ছে, তত বেহালায় জোড়া খুন নিয়ে প্রশ্নের সংখ্যা তত বাড়ছে। সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে যে সোমবার দুপুরে নিহত শিক্ষিকা সুস্মিতা মণ্ডলের স্বামী তপনের ফোন ঘণ্টাদুয়েক বন্ধ ছিল। পাশাপাশি কয়েকজন অপরিচিতদের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।
মা ও ছেলের খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত নেমেছে কলকাতা পুলিশ। সূত্রের দাবি, প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন যে সোমবার বাড়ি ফেরার পথে তাঁদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তপন। জানাচ্ছিলেন যে দীর্ঘক্ষণ ধরে স্ত্রী’কে ফোনে পাচ্ছেন না। আত্মীয়-স্বজনদেরও ফোন করেন। তবে প্রথমেই সরাসরি ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেননি। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর তপন ফ্ল্যাটে ওঠেন বলে ওই সূত্রের দাবি। পাশাপাশি সূত্রের খবর, যে অপরিচিতিদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তপন, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতের দিকে পর্ণশ্রীর সেনপল্লিতে একটি বহুতলের তিনতলা থেকে মা সুস্মিতা (৩৫) ও ছেলে তমোজিতের (১৪) গলাকাটা দেহ উদ্ধার করা হয়। বেসরকারি ব্যাঙ্কে কর্মরত গৃহকর্তা তপন বাড়ি ফিরে দেখতে পান, দরজা পুরোপুরি বন্ধ করা নেই। দুটি ঘরের মা এবং ছেলের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। উদ্ধার করা হয় দুটি মৃতদেহ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যে তমোজিতের পরনে ছিল স্কুলের জামা। গলায় ছিল টাই। সম্ভবত অনলাইন ক্লাস করছিল সে। ল্যাপটপও খোলা ছিল। সেইসময় মা এবং ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তারইমধ্যে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, চপার দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। ধারালো আঘাতের চিহ্নও মিলেছে দেহে। ফ্ল্যাটের মধ্যে যে আনুষঙ্গিক প্রমাণ মিলেছে, তাতে মনে করা হচ্ছে যে একাধিক আততায়ী ছিল।
Be the first to comment