হেমন্ত সোরেনের শপথ অনুষ্ঠান যেন বিরোধী ঐক্যের মঞ্চ। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন হেমন্ত সোরেন। সোরেনের শপথ মঞ্চে পাশাপাশি বসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী, সিপিআইয়ের ডি রাজা, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, আরজেডির তেজস্বী যাদবরা। রয়েছেন, ডিএমকের স্ট্যালিন, কানিমোঝি-ও।
ঐতিহাসিক এই শপথ মঞ্চই সাম্প্রতিক ভারতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে ফের গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল। দেশে এনআরসি-সিএএ বিক্ষোভ প্রবল আকার ধারণ করেছে। এই প্রেক্ষিতেই ২০১৮-এ কর্নাটকের স্মৃতি উস্কে বিজেপি বিরোধী নেতাদের এক জায়গায় আনল ঝাড়খণ্ডের শপথ অনুষ্ঠান।
গেরুয়া শিবিরের দাপটকে রুখে দিয়েছে হেমন্ত সোরেন নেতৃত্বাধীন জেএমএম-কংগ্রেস ও আরজেডি জোট। রাঁচির মোহরাবাদী মাঠে আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ভূমিপুত্র হেমন্ত সোরেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ পায়। বিজেপিকে পরাস্ত করে রাজ্যের ক্ষমতায় দখল করে জেএমএম-কং-আরজেডি জোট। জেএমএম ৩০ আসন পায়। কংগ্রেস ও আরজেডির ঝুলিতে রয়েছে যথাক্রমে ১৬ ও ১ বিধায়ক। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডির দল জেভিএম(পি) পেয়েছে ৩ আসন। পরে মারান্ডি জেএমএম জোটকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করে। ৮১ আসন বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় বিজেপির দখলে ২৫ আসন।
মায়াবতী, অখিলেশ, শরদ যাদব ছাড়া বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ সব নেতারাই হেমন্ত সোরেনের শপথে উপস্থিত থাকলেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে বিরোধী শক্তিকে জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সোরেনের শপথ অনুষ্ঠান যেন সেই সুযোগ করে দিয়েছিল। যাতে গেরুয়া বিরোধী অধিকাংশ দলের নেতারা উপস্থিত থেকে প্রতিপক্ষ শিবিরের ঐক্য তুলে ধরার চেষ্টা করলেন।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=875247616242961&id=294493857651676
Be the first to comment