মৌসুমীর রান্নাঘর- “হেমকণার পায়েস”

Spread the love

মৌসুমী রায় সরকার (বিভাগীয় প্রধান)

আজকের অতিথি- ছন্দা গুহ

ছন্দা গুহ

আজকের রেসিপি-“হেমকণার পায়েস”

হেমকণার পায়েস

সাবেকিয়ানা বলতেই সেকেলের ঠাকুমা ,দিদিমার হাতের রান্নার সাথে সাথে সবচেয়ে বেশী যা আমাদের মনকে প্রভাবিত করে তোলে ,তা হলো ঠাকুর বাড়ির রান্না , খুব সাধারণ এবং সহজলভ্য রান্নার পাশাপাশি আধুনিকতার ছোঁয়াও ছিল ঠাকুর বাড়ির রান্নায় ,যা সময়ের হাত ধরে আমরা শিখতে এবং জানতে পারছি , আমি আজ ‘শ্রীমতি প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী’র হাতের তৈরি একটি রেসিপি .. “”হেমকণার পায়েস ” প্রস্তুত করেছি।

নাম শুনেই বোঝা যায়, এ খাবারের আভিজাত্য। ‘হেম’ কথার অর্থ সোনা। সোনার কণার মত ঈষৎ হলুদ আভার খোয়া ক্ষীরের ছোট ছোট বল / নাড়ু যা ঘন দুধে ফুটিয়ে তৈরি হয় এই পায়েস। মুখে দিলেই গলে যায় ক্ষীরের বল গুলো অসাধারণ এর স্বাদ , মুখে পুরে চোখ বন্ধ করে বলতেই হয় আহাঃ 😋
আজ আমার এই ছোট্ট প্রয়াস আমি সকলের সাথে ভাগ করে নিলাম রেসিপির মাধ্যমে।

উপকরণ:

দুধ ১ লিঃ
চিনি পরিমাণ মতো
আমন্ড ২৫ – ৩০ টা
কাজু ১০ -১২
খোয়াক্ষীর ১০০ গ্রাম
গোবিন্দ ভোগ চালের গুঁড়ো ২ চামচ
ছোট এলাচ ৩-৪টে
স‍্যাফরন / কেশর

প্রনালী:

আমি ঘরে খোয়াক্ষীর ,আর চালের গুঁড়ো বানিয়ে নিয়েছি । প্রথমে দুধ এলাচ ,স‍্যাফরন আর চিনি দিয়ে ঘন ক্ষীর মতো করে জ্বালিয়ে নিয়েছি ,তারপর আগের রাতে ভিজিয়ে রাখা আমন্ড এর খোসা ছাড়িয়ে ,তার সাথে কাজু , চালের গুঁড়ো ,সামান্য চিনি আর খোয়াক্ষীর দিয়ে মিক্সিতে একটা পেস্ট তৈরী করে নিয়েছি জল ছাড়া।

এবার একটা পাত্রে ঢেলে হাতের সাহায্যে ( আমি হাতে সামান্য ঘী মাখিয়ে নিয়েছিলাম ) ছোট ছোট নাড়ুর মতো তৈরী করে নিয়ে ঘন করা দুধে ছেড়ে পাঁচ- সাত মিনিট মতো ফুটিয়ে গ‍্যাস অফ করে দিয়েছি ,তারপর ঠান্ডা করে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করেছি এই অসাধারণ স্বাদের মিষ্টান্ন।

চটপট তৈরি করুন, আর জানান আপনাদের মূল্যবান মতামত।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*