এক রোগিণীর মৃত্যুর পরে গাফিলতির অভিযোগে ধুন্ধুমার বাঁধল হেমতাবাদ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ব্যাপক ভাঙচুর চালায় মৃতের আত্মীয়রা। মারধর করা হয় চিকিৎসক সহ হাসপাতাল কর্মীদের। মারে জখম চিকিৎসক বিপুল ঘোষকে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ হেমতাবাদ ব্লকের ছোট কান্তোরের বাসিন্দা তাবেদা খাতুনকে হেমতাবাদ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হন। শ্বাসকষ্ট ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন তিনি। সেই সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিপুল ঘোষ তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ ওই মহিলা মারা যান।
অভিযোগ, এরপরেই তাবেদার আত্মীয়রা হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু করে। পাশাপাশি কর্তব্যরত চিকিৎসক বিপুল ঘোষ ও হাসপাতালের অন্য কর্মীদের মারধর করে। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসার জন্য এই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার আকস্মিকতায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চিকিৎসক বিপুলবাবু। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলতে অস্বীকার করেন তিনি। মৃতার আত্মীয়রা হাসপাতালে ভাঙচুর ও চিকিৎসককে মারধরের কথা স্বীকার করলেও কিছুই উত্তেজিত গ্রামবাসীরা ওই কাজ করেছেন বলে দায় এড়িয়েছেন।
Be the first to comment