প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় স্বস্তি পেল পর্ষদ। প্যানেল প্রকাশের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়। সেই নিয়োগ নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, অবিলম্বে ওই বছরের নিয়োগের প্যানেল পেশ করতে হবে আদালতে। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। বুধবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে।
গত ৩ জানুয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্যানেল প্রকাশের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল পর্ষদকে। মোট ৪২ হাজার ৯৪৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় ছিল পর্ষদের কাছে। হার্ড কপি ও সফট কপি জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে বিচারপতি সৌমেন সেন প্রশ্ন করেন, “আদালত যদি কোনও নথি দেখতে চায় তাহলে অসুবিধা কোথায়?” তিনি বলেন, “সব নথি আপনাদের কাছে থাকার কথা। আপনারাই সেই সব নথির মালিক। আদালত যে কোনও সময় যে কোনও নথি দেখতে চাইতেই পারে।” তিনি জানতে চান, আদালত যদি প্যানেল দেখতেও চায়, সে ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে প্রভাবিত করা হবে কীভাবে? কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে কি না, সেটাও জানতে চান বিচারপতি।
Be the first to comment