ভোট প্রচারে মিটিং-মিছিল বন্ধ নিয়ে কমিশনের হলফনামা গ্রহণ করল হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী সোমবার পরবর্তী শুনানি হবে। তবে এদিনও কমিশনের প্রতি কঠোর মনোভাবই প্রকাশ করল আদালত। তারা স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, সাধারণ মানুষকে করোনা বিধি মানাতে প্রয়োজনীয় সবরকম পদক্ষেপ করতে হবে কমিশনকেই।
এদিন কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, শহর বা গ্রাম— সর্বত্র মানুষ যাতে মাস্ক ব্যবহার করেন তা নিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে। প্রয়োজনে অফিসার নিয়োগ করবে কমিশন। বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। কোভিডে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার নিয়ে কমিশনের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়, এমনটাই পর্যবেক্ষণ ছিল হাইকোর্টের।
যে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ১১ হাজার পার করে যাচ্ছে, সে রাজ্যে কী ভাবে রাজনৈতিক দলগুলি হাজার হাজার লোকজন জড়ো করে ভোট প্রচার করছে তা নিয়ে কার্যত বাকরুদ্ধ আদালত।
এরপরই তারা নির্দেশ দেয়, “সার্কুলার নয় পদক্ষেপ চাই।” এরপরই বৃহস্পতিবার বিকেলে কমিশন নির্দেশ দেয়, শেষ দু’দফা ভোটের আগে প্রচারে কোনও পদযাত্রা করা যাবে না। একই সঙ্গে কোনও রোড শো বা বাইক মিছিলের উপরও সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তারা। যদিও প্রচার সভা এখনই বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তবে কোনও নির্বাচনী জনসভায় ৫০০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় তারা। এদিন হলফনামায় এই বিষয়গুলি জানিয়েছে কমিশন।
Be the first to comment