রাজ্যের ২৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মঙ্গলবার মামলা হয়।আবেদনকারীর অভিযোগ, নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০১২ এবং ২০১৪ সালের আইন না মেনেই উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে। আদালত উপাচার্যদের তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামায় তাঁদের বক্তব্য জানাতে বলেছে। তার দুই সপ্তাহ পর মামলাকারীকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ অগাস্ট।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় অনেকদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, অন্তত ২৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বেআইনি কাজ করেছে। তাঁর অনুমোদন ছাড়াই ওই উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্য সরকার অবশ্য রাজ্যপালের ওই অভিযোগকে গুরুত্ব দেয়নি। রাজ্যের দাবি, যা করা হয়েছে, আইন মেনেই হয়েছে। রাজ্যপাল এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকেও জানিয়েছেন।
এর আগে একাধিকবার রাজ্যপাল এ বিষয়ে টুইট করে তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী উপাচার্য নিয়োগকে ঘিরে ফের এই বিতর্ক সামনে এসেছে। বর্তমান উপাচার্য সব্যসাচী রায়চৌধুরীর কার্যকালের মেয়াদ ১৮ সেপ্টেম্বর শেষ হয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে রাজ্যপাল টুইট করে পরবর্তী উপাচার্য হিসেবে নৃত্য বিভাগের অধ্যাপক মহুয়া মুখোপাধ্যায়ের নাম জানিয়ে দেন। তাতেই উষ্মা প্রকাশ করেছে শাসকদল।
রাজ্য সরকার এই ব্যাপারে যে সার্চ কমিটি গঠন করেছিল, তাতেও প্রথম নাম রয়েছে মহুয়ার। সেই প্রথম নামেই সিলমোহর দিয়েছেন রাজ্যপাল। তৃণমূল বলছে, রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরানোর জন্য বিধানসভায় বিল পাশ করা হয়েছে।
শাসকদলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, রাজ্যপাল এখন প্রাক্তন আচার্য। কাজেই তিনি এখন আর উপাচার্য নিয়োগ করতে পারেন না। রাজভবনের প্রশ্ন, এখনও সেই বিল রাজ্যপাল অনুমোদন করেননি। কাজেই তিনি বেআইনি কিছু করেননি। তার মধ্যে শিক্ষা দফতর সার্চ কমিটির সুপারিশ রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে নাম চূড়ান্ত করতে বলে। প্রশ্ন উঠেছে, শিক্ষা দফতরই বা কেন তা পাঠাতে গেল। শিক্ষা মহলের যুক্তি, রাজ্যপাল বেআইনি কিছু করেননি।
Be the first to comment