এসএসসি চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাই কোর্ট। চতুর্থ শ্রেণির ৫৭৩ জনকর্মীর নিয়োগ বাতিল করল আদালত। এমনকী, তাঁদের নিয়োগের জন্য সরকারের যত টাকা খরচ হয়েছে সেই টাকাও ওই কর্মীদের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করা হবে। বুধবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ।
শুরুতে মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল,গ্রুপ ডি বিভাগে ২৫ জনের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। নথি খতিয়ে দেখে তাঁদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পরবর্তী সময়ে ৫০০-রও বেশি পদে অস্বচ্ছ নিয়োগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই কর্মীদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। এবার তাঁদের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত।
২৫ জানুয়ারিও একই ধরনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই সময় যাঁদের নথি সামনে এসেছিল, তাদের চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বুধবার দুর্নীতির মাধ্যমে নিযুক্ত ৫৭৩ জন যে যেখানে কর্মরত রয়েছেন, তাঁদের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। একইসঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জন্য সরকারের যা খরচ হয়েছিল তাও ওই কর্মীদের কাছ থেকে উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে হাই কোর্ট। তবে কারা তাদের সুপারিশ করেছিল, কীভাবে নিযুক্ত হয়েছিল তারা, আদালতে এই সমস্ত জানিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারবেন ওই ৫৭৩ জন। পাশাপাশি, গ্রুপ ডি বিভাগে নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তের অগ্রগতি কতটা হল, ৭ দিনের মধ্যে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়টির সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। যদিও সেই নির্দেশকে চ্যালঞ্জ করে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় এসএসসি কর্তৃপক্ষ, পর্ষদ এবং রাজ্য সরকার। ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তেক নির্দেশ খারিজ করে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে কমিটি গড়ে তদন্ত নির্দেশ দেয়। ৭ ফেব্রুয়ারি তাদের রিপোর্ট জমা করার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আরও ৪ মাস সময় চায় তারা। তাদের আরজি মেনে ২ মাস সময় দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এর মাঝেই ৫৭৩ জনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
Be the first to comment