ফের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্নের মুখে রাজ্য। এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়লেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকাকে ফরেন্সিক বিভাগের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এদিন শুনানিপর্বে জানতে চান, ফরেন্সিক বিভাগের ১৭ শূন্যপদে কেন নিয়োগ হয়নি? এদিন বিচারপতি নির্দেশ দেন পুজোর আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার। আর যাতে দেরি না হয়, নির্দেশ দেয় আদালত।
এদিন আদালত নির্দেশ দিয়েছে, পুজোর আগেই ১০ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। আদালতের এই নির্দেশের যদি কোনওরকম অন্যথা হয় সেক্ষেত্রেও কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে এদিন স্বরাষ্ট্রসচিব গোপালিকাকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন বিচারপতি। স্বরাষ্ট্রসচিবের উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, পুজোর আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হলে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হবে।
এ নিয়ে মঙ্গলবারই স্বরাষ্ট্রসচিব যেন পিএসসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করেন, সে নির্দেশও দিয়েছে আদালত। বিচারপতির নির্দেশ, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। অর্থাৎ পঞ্চমী থেকেই নিয়োগ পদ্ধতির প্রথম পদক্ষেপ করতেই হবে। এদিনই বেলা ২টোর মধ্যে পিএসসি চেয়ারম্যান ও স্বরাষ্ট্রসচিবের মধ্যে আলোচনার নির্যাস জানাতে হবে আদালতকে।
গত কয়েকদিনে একাধিক মামলায় পুজোর আগে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ সংক্রান্ত সেসমস্ত নির্দেশ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশের পরই সোমবার নিয়োগ সংক্রান্ত বড় ঘোষণা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১১ হাজারের বেশি শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ হবে বলে জানানো হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাশ করেছেন, ১১ হাজার শূন্যপদের জন্য তাঁরা আবেদন করতে পারবেন। পুজোর আগেই নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হবে।
পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশনও সোমবার জানিয়েছে, উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ বোর্ড গঠন হয়েছে। আদালতের অনুমতি পেলে ১৫৮৫ জনের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এসএসসি। ১১ বিষয়ের জন্য এই নিয়োগ হবে। আদালতের অনুমতি পেলে পুজোর আগেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
Be the first to comment