ফলাফল প্রকাশের পর পেরিয়ে গেছে দেড় মাস। অথচ বৃহষ্পতিবার আবার নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করল উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড। নজির বিহীন এই ঘটনায় উত্তরপত্রের মূল্যায়ন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, নতুন তালিকায় প্রথম দশে স্থান পেল আরও ৪ জন পড়ুয়া। আর পুরনো মেধা তালিকার ৫ পড়ুয়ার স্থান গেছে পাল্টে। স্ক্রুটিনির পর কয়েক নম্বরের হেরফের নতুন কোনও ঘটনা নয়। কিন্তু, এতটাই রদবদল হয়েছে যে, পাল্টে গেছে পুরনো মেধাতালিকার ক্রম। ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন শিক্ষামহল।
জানা গেছে, চলতি বছরের ৮ জুন প্রকাশিত হয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল। প্রথম হয় জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের গ্রন্থন সেনগুপ্ত। পাসের হার ছিল ৮৩.৭৫ শতাংশ। নিয়ম মেনে, আপত্তি থাকলে পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করার কথাও জানিয়ে দেয় বোর্ড। আবেদন করে প্রায় ৪৫ হাজার পড়ুয়া। তাদের উত্তরপত্র যাচাই করতেই দেখা দেয় বিপত্তি। দেখা যায়, রিভিউ ও স্ক্রুটিনিতে নম্বর বেড়েছে ৬ হাজার পড়ুয়ার। এমনকি প্রথম দশেই স্থান হয় আরও ৪ জন পড়ুয়ারা। আগের মেধাতালিকার ৫ জনের স্থানও পাল্টে যায়। স্বাভাবিকভাবেই একসঙ্গে এত পড়ুয়ার নম্বর বৃদ্ধিতে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অভিযোগ, এই ঘটনায় প্রমাণ করে, প্রথমবারে উত্তরপত্রের মূল্যায়ন ঠিকমতো হয়নি। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উচ্চশিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মহুয়া দাসও। উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকদের তলব করেছেন তিনি।
Be the first to comment