এবার কলকাতার পাশে উলুবেড়িয়ার গঙ্গায় উঠল ৩ কেজির ইলিশ। উলুবেড়িয়ার ১১ ফটক বাজারে মাছটি নিয়ে যাওয়া হয় বিক্রির জন্য। যেখানে কার্যত নিলামের মতো এর দাম উঠেছে ১২ হাজার টাকা। তবে, তাতেও এই মাছ ছাড়তে নারাজ বিক্রেতা নেপাল পাকিরা। এই পর্যন্ত ১৪ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি হয়েছেন একজন ক্রেতা। কিন্তু, তাতেও মাছ ছাড়তে নারাজ তিনি। ক্রেতাদের কথায়, এত বড় মাছের লোভ সামলাতে পারছেন না বিক্রেতা নিজেই। সে কারণে তিনি নিজেই মাছটির দাম চড়িয়েও তা ছাড়তে পারছেন না।
এই মাছ দেখতে ভিড় জমতে শুরু করে বাজারে। তবে এত বড় মাছ এর আগেও ধরা পড়েছিল বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। তাঁদের কথায়, বছর তিনেক আগে এর থেকেও বড় মাছ উঠেছিল জালে। উলুবেড়িয়ার এই গঙ্গাতেই সেই মাছ ধরা পড়ে। বিক্রিও হয় সেখানেই। সেবারও হইচই পড়ে গিয়েছিল। এই ধরনের বড় আকারের ইলিশ দিঘা বা ডায়মন্ডহারবারে মাঝেমাঝেই ধরা পড়ে। কিন্তু গঙ্গায় এভাবে এত বড় ইলিশ মেলায় আশায় মৎস্যজীবীরাও। তাঁরা মনে করছেন, গঙ্গায় বড় ইলিশের ঝাঁক এসে থাকতে পারে। তার জন্য জাল নিয়ে ইতিমধ্যে রওনা দিয়েছেন তাঁরাও৷ উলুবেড়িয়ার গঙ্গা শুধু নয়, গঙ্গায় এই মুহূর্তে যে ইলিশ উঠবে সে খবর আগে থেকেই জানিয়েছিল মৎস্য দপ্তর৷
অন্যদিকে, খবর রয়েছে দিঘা বা ডায়মন্ডহারবারেও ইলিশের বড় ঝাঁক ধরা পড়বে৷ গতকাল পর্যন্ত দিঘায় ইলিশ ধরতে যাওয়া নিয়ে বিধিনিষেধ ছিল। আজকেই সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়েছে। তার পর আজ বড় ঝাঁকের ইলিশ ধরা পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আজ বিকেলের পরই সেই ইলিশ মিলতে পারে পেটুয়াঘাটে। তবে ঝাঁকে প্রচুর ইলিশ মিললেও এখানে পাওয়া ইলিশের ওজন খুব বেশি নয়। ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মিলছে। দাম উঠছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বরফ অমিল হওয়ায় দাম নেমে যাচ্ছে ৩০০ টাকায়। পাশাপাশি ডায়মন্ডহারবারেও মিলছে অঢেল ইলিশ৷
Be the first to comment