অবশেষে কাটল আকাল। দিঘার সৈকতে ধরা পড়ল প্রচুর ইলিশ। দিঘার মত্স্য ব্যবসায়ীদের পক্ষে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে এদিন মোট ৭০ টন ইলিশ পৌঁছেছে দিঘার মোহনায়। যার ফলে এক লাফে অনেকটাই কমেছে ইলিশের দাম। ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ইলিশ।
চলতি মরশুমের শুরু থেকেই চলছিল ইলিশের আকাল। জামাইষষ্ঠীতে আগুন দামে ইলিশ কিনে দিতে হয়েছে জামাইয়ের পাতে। তার পর মাস ঘুরলেও বদলায়নি পরিস্থিতিটা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনুকূল না হওয়ায় সমুদ্র থেকে সৈকতের দিকে আসেনি ইলিশের দল। যার ফলে জেলের জালে ধরা পড়ছে না মাছ। তবে সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে উত্তাল হয়েছে সমুদ্র। সঙ্গে শুরু হয়েছে ইলশেগুড়ি বৃষ্টি। তাতেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়েছে জালে।
জোগান বাড়তেই কমেছে দাম। বৃহস্পতিহার দিঘায় ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের মাছ বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে। ৬০০ গ্রাম ১ কেজি ওজনের মাছ বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকা কেজি দরে। ইতিমধ্যে দিঘায় মাছ কিনতে পৌঁছে গিয়েছেন গোটা রাজ্যের মাছ ব্যবসায়ীরা। অনুমান দিন কয়েকের মধ্যেই দাম কমবে ইলিশের।
দিঘার মত্স্যজীবীদের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার মোট ৭০ টন ইলিশ পৌঁছেছে দিঘার সৈকতে। প্রতিটি ট্রলার ৩ – ৭ লক্ষ টাকার ইলিশ নিয়ে ফিরেছে। শুধু দিঘা নয়, ওড়িশা সৈকতেও ধরা পড়েছে প্রচুর ইলিশ। পরিস্থিতি এমনই যে ওড়িশায় বরফের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে দিঘায় মাছ বিক্রি করতে চলে এসেছেন ওড়িশার বেশ কিছু ব্যবসায়ী। সব মিলিয়ে দিঘা মোহনার পাইকারি মাছ বাজার এখন জমজমাট।
Be the first to comment