গোটা দেশে এখন শুধুই হিমাকে নিয়েই চর্চা। মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলি, সুনীল ছেত্রীদের দেশে অখ্যাত এক অসমিয়া কন্যা আলো কেড়ে নিয়েছেন আচমকা। ক্যামেরার তাক, প্রচারের স্পটলাইট, সরকারি সাহায্য এতদিন কিছুই ছিল না। নওগাঁও জেলার ঢিং গ্রামটা এমনিতে ভারতের মানচিত্রে দেখা যায়। তবে গ্রামটাকে বিশ্বের সামনে উজ্জ্বল করে তুলে ধরলেন এই ১৮ বছরের দৌড়বিদ। ভারতীয় ক্রীড়া জগতের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় লিখে হিমা এখন খবরের শিরোনামে।
তাই মেয়েটিকে এবার সাহায্য করতে এইবার এগিয়ে এলেন কলকাতার বিশিষ্ট স্পোর্টস থেরাপিস্ট পুষ্পকেতু কোনার। সুনীল, মেহতাব থেকে শুরু করে বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে ব্যারেটো, ওডাফা, টোলগে। বিভিন্ন সময় এইসব ফুটবলারদের চোট সারাতে এগিয়ে এসেছেন তিনি। এইবার সেই কোনার ‘সোনার মেয়ে’এর পাশে দাঁড়াতে চান।
ভারতের প্রথম মহিলা হিসেবে বিশ্ব অনুর্দ্ধ-২০ জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ৪০০ মিটার ইভেন্টে সোনা জিতলেন। ভারতের প্রথম মহিলা দৌড়বিদ হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ট্র্যাক এন্ড ফিল্ড ইভেন্টে সোনা জিতে ইতিমধ্যে ইতিহাস গড়ে ফেলেছেন অসমের এই তরুণী। তাই বাকিদের মত তিনিও হিমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এক্সট্রাটাইম’কে কোনার বলছিলেন,”এত কম বয়সে হিমার এমন চোখধাঁধানো সাফল্যে সবাই ওকে নিয়ে উল্লসিত। তবে আমি একটু অন্যভাবেই ব্যাপারটা দেখছি। ওর মধ্যে প্রতিভার কোনও খামতি নেই সেটা প্রমাণিত। তবে ভবিষ্যতে আরও সাফল্য পেতে হলে, বিশেষ করে সিনিয়রদের বিশ্ব মিট কিংবা অলিম্পিকে সোনা জিততে হলে ওকে আরও পরিশ্রম করতে হবে। আর সেটার জন্য লাগবে সঠিক ডায়েট, নিউট্রিশন, রিহ্যাব। তাই ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ নিখরচায় ওর চিকিৎসা করতে চাই। যাতে ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে সঠিকভাবে মেলে ধরতে পারে।”
পুষ্পকেতু কোনারের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে সেটা তো হিমার কাছের লোকজনকে জানাতে হবে। তাই এক্সট্রাটাইম’এর তরফ থেকে হিমার ‘স্পটার’ নিপন দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হল। টেলিফোনের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি শুনে বেশ আপ্লুত নিপন দাস। পুষ্পকেতু কোনারকে সাধুবাদ জানিয়ে নিপন বললেন,”ওনার মত মানুষ যদি হিমার সাহায্য করেন তাহলে আমি কেন আটকাতে যাব! এটা তো খুব ভাল ব্যাপার। এশিয়ান গেমসের পরে হিমা দেশে ফিরলেই এই বিষয়ে ওর সাথে কোনার বাবুর সঙ্গে কথা চূড়ান্ত কথাবার্তা বলিয়ে দেব।”
Be the first to comment