প্রবল বর্ষণের জেরে উত্তর ভারতে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের ৷ বেশ কয়েকটি রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ নেমেছে ধসও ৷ দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশে জারি হয়েছে সতর্কতা ৷ যমুনার জলস্তরও বইছে বিপদসীমার (205.33 মিটার) উপর দিয়ে ৷ উত্তর ভারতে জখম হয়েছে ১২ জন ৷ প্রবল বৃষ্টি আর তার জেরে ভূমিধসের কারনেই বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশের জনজীবন। বৃষ্টির জেরে শুধু হিমাচল প্রদেশেই মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের ৷ সিমলায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের ৷ দেরাদুন, পাওরি-গাড়োয়াল, নৈনিতালও বিপর্যস্ত ৷ প্রায় ৭০ বছর পর হিমাচলে টানা ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন ৷
হিমাচল প্রদেশ ছাড়াও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তরাখণ্ড ৷ এই রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের ৷ নিখোঁজ ১০ জনেরও বেশি ৷ এই রাজ্যে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে উত্তরকাশি জেলা ৷ আরাকোট, মাকুরি, তিকোচি গ্রামে অসংখ্য বাড়ি ধসে গিয়েছে ৷ পাঞ্জাবের অওল গ্রামে বাড়ির ছাদ ধসে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ দিল্লি প্রশাসনের তরফে রাজধানী ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে যাঁরা তুলনামূলক নিচু এলাকায় বাস করেন, তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে ৷ হরিয়ানার হথনীকুণ্ড বাঁধ থেকে ৮ লক্ষ ১৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে যমুনায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছে রাজ্য সরকার।
এদিকে গঙ্গা, যমুনা, ঘাগরার জলস্তরও বাড়ছে ক্রমশ ৷ বদায়ুন, গড়মুক্তেশ্বর, নারাউরা, ফারুখাবাদে গঙ্গার জলস্তর বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে ৷ সিমলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। হিমাচল প্রদেশের একাধিক জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে। রবিবার সকালে কিন্নাউর-এর রিব্বা এলাকায় প্রবল বৃষ্টির জেরে ভূমিধসের কারণে ৫ নম্বর জাতীয় সড়ক কার্যত বন্ধ ছিল। শনিবার প্রবল বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের জেরে হিমাচল প্রদেশ জুড়ে ৩২৩টি রাস্তা অবরুদ্ধ ছিল।
ধসের কারণে চণ্ডীগড়-মানালি এবং সিমলা-কিন্নাউর জাতীয় সড়ক-সহ একাধিক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসের জেরে ১৩টি জাতীয় সড়ক সহ ৮৮৭টি রাস্তা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বন্ধ ৷ যার জেরে আটকে পড়েন অনেকে। এদিকে আজ অর্থাৎ সোমবার সিমলা, সোলান, কুলু এবং বিলাসপুর জেলার স্কুলগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । প্রত্যেক ডেপুটি কমিশনারকে স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
Be the first to comment