গ্রেপ্তারির ন’দিনের মাথায় প্রকাশ্যে মুখ খুলল হিম্মত সিং চৌহান। দাবি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এই কাজ করেছেন শিলিগুড়ির প্রাক্তন এক বিধায়ক। যদিও এক সূত্রের দাবি, রাজনৈতিক রেষারেষির জেরেই আসল রাঘববোয়ালদের ছেড়ে দিয়ে প্রাক্তন বিধায়কের প্রসঙ্গ সামনে এনেছে হিম্মত।
আটদিনের পুলিশি হেপাজতের পর গতকাল এক আদিবাসীর জমি দখলের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার (shown arrest) করা হয় হিম্মতকে। তদন্তের স্বার্থে হিম্মতকে আরও পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেপাজতে নেয় পুলিশ।
শিলিগুড়ির চম্পাসারি এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে সরকারি জমি দখল করে তাতে অবৈধভাবে নির্মাণের অভিযোগে চলতি মাসের ৪ তারিখে তৃণমূল নেতা হিম্মত সিং চৌহানকে গ্রেপ্তার করে প্রধাননগর থানার পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে হিম্মত সিংকে আট দিনের পুলিশি হেপাজতে নেয় প্রধাননগর থানার পুলিশ। পুলিশ রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হলে গতকাল তাকে ফের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে হাজির করা হয়। তদন্তের স্বার্থে বিচারক ফের পাঁচ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন।
এজলাস থেকে বেরিয়ে আদালতের লক আপে যাওয়ার পথে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলে হিম্মত। তার বক্তব্য, অন্যায়ভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। নেপথ্যে শিলিগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক।
হিম্মতের এহেন মন্তব্যের পর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। জল্পনা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। কারণ, ২০১৩ সালে হিম্মত তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময় শিলিগুড়ির বিধায়ক ছিলেন তৃণমূল নেতা ডঃ রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। কিন্তু তারপর ২০১৫ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে বিধায়ক হন অশোক ভট্টাচার্য। স্বাভাবিকভাবে হিম্মত প্রকাশ্যে বিধায়কের নাম না বললেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন রুদ্রবাবুর দিকে আঙুল তুলল হিম্মত। যদিও, এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি রুদ্রবাবু। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে যা বলার জেলা সভাপতি বলবেন।”
তবে হিম্মতের দলবলের বিরুদ্ধে তল্লাশি চললেও এখনও তাদের খোঁজ মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ হঠাৎ করেই এ নিয়ে ধীরে চলছে পুলিশ। অভিযোগ, এক সরকারি কর্মীসহ হিম্মতের দলবলের কয়েকজনকে বাঁচানোর তাগিদেই এই কাজ করছে পুলিশের একটা অংশ।
Be the first to comment