কেন্দ্রীয় সরকারের খসড়া শিল্পনীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল দক্ষিণ ভারত জুড়ে। ওই শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছিল, দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে হিন্দি শিখতে হবে। সবচেয়ে বেশি অসন্তোষ দেখা যায় তামিলনাড়ুতে। সোমবার চাপের মুখে খসড়া শিক্ষানীতি বদলালো কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন খসড়ায় বলা হয়েছে, ছাত্রছাত্রীরা নিজের ইচ্ছামতো ভাষা শিখতে পারবে। শিক্ষানীতির যে ধারায় হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছিল, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। সংশোধিত শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে, আমরা কোনওরকম কঠোরতা চাই না। ছাত্রদের স্কুলস্তরে তিনটি ভাষা শিখতে হবে। সিক্সথ এবং সেভেনথ গ্রেডে তারা ইচ্ছামতো একটি বা দু’টি ভাষা শিখতে পারবে। তাদের তিনটি ভাষা শেখানোই আমাদের উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য, পুরানো খসড়া নীতিতে বলা হয়েছিল, ছাত্রছাত্রীদের স্কুল স্তরে হিন্দি ও ইংরেজি শিখতেই হবে। হিন্দি ও হিন্দিভাষী নয় এমন রাজ্যেও স্কুলস্তরে ওই নীতি প্রযোজ্য হবে। দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে এই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ পথে নামেন। তাঁদের অভিযোগ, অহিন্দিভাষী ছাত্রছাত্রীদের ওপরে ক্লাস এইট অবধি হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হন কয়েকজন রাজনীতিকও। তামিলনাড়ুতে শাসক এডিএমকে ও বিরোধী ডিএমকে শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে পথে নামে।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল ওই খসড়া শিক্ষানীতি তৈরি করে। প্যানেলের শীর্ষে ছিলেন ইসরোর প্রাক্তন প্রধান কৃষ্ণস্বামী কস্তুরিরঙ্গন।
Be the first to comment