ছবিটি ১৫০ মিনিটের। ছবিতে অভিনয় করেছেন খরাজ মুখার্জী, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, শংকর চক্রবর্তী, প্রমুখ। ক্যামেরার পিছনে লুকিয়ে থাকা হীরালাল সেনের বহু অজানা তথ্য নিয়ে নির্মিত এই ছবি আপনাকে দেখতেই হবে বারবার, আশাবাদী পরিচালক,প্রযোজক ও। সোমবার ছবিটি দেখানোর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় টিম হীরালাল। ভারতীয় সিনেমার জনক হিসাবে আমরা জানি দাদা সাহেব ফালকেকে। কিন্তু তার আগেও যিনি সিনেমা নিয়ে স্বপ্ন দেখে সেটাকে বাস্তবায়িত করেছিলেন তিনি হীরালাল সেন। ঘটনাক্রমে তাঁর সমস্ত কাজ নষ্ট হয়ে যায়, পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পরিচালক জানান, স্টিল ফোটোগ্রাফার হীরালাল সেনের সিনেমার নেশা ভর করে লুমিয়ার ব্রাদার্স মুম্বইয়ে তাদের ছবির স্ক্রিনিং-এর পর। পরে তার সঙ্গে আলাপ হয় নাট্যব্যক্তিত্ব অমরেন্দ্রনাথ দত্তের। এই দুজন পরে আলিবাবা নাটককে সাদা স্ক্রিনে বায়োস্কোপ করে দেখান। সেই শুরু। প্রথম অ্যাড, জবাকুসুম তেলের বিজ্ঞাপনও কিন্তু তারই বানানো। পরে একটি তথ্যচিত্র বানান বঙ্গভঙ্গের ওপরে যা পুড়ে যায়। এর আগে ‘এগারো’ ও ‘চোলাই’ নামে আরও দুটো ছবি বানিয়েছেন অরুণ রায়। কলকাতার লাহা বাড়ি, বেলগাছিয়া রাজবাড়ি, মুর্শিদাবাদ, টিটাগড়ে শুটিং হয়েছিল এই ছবির। ছবিটির প্রযোজনা করেছেন ইন্দ্রজিৎ রায়।
তবে স্ক্রিনিংয়ের আগেও তারা সামনে নিয়ে আসেন নি কে অভিনয় করেছেন হীরালালের ভূমিকায়? পরে ছবি দেখে জানা গেল পর্দায় কিঞ্জল নন্দী অভিনয় করেছেন মুখ্য চরিত্রে। তিনি চরিত্রকে ফুটিয়ে তলার জন্য প্রায় দেড় মাস নাকি লিকুইড ছাড়া সলিড কিছুই খান নি। তবে এদিন উপস্থিত ছিলেন না শাশত্ব চট্টোপাধ্যায়, শঙ্কর চক্রবর্তী, খরাজ মুখোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে এটা একটা অজানা দলিল এমনটাই বললেন পরিচালক অরুণ রায়।
Be the first to comment