বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের পথ অনুসরণ করলেন বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন তিনি। একের পর এক ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি যে ক্রমশ বাড়ছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে কী কারণে এই সিদ্ধান্ত, সে বিষয়ে এখনও কিছুই জানাননি তারকা বিধায়ক। এবার কি ফুলবদলও স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, ক্রমশ জোরাল হচ্ছে জল্পনা।
বিধানসভা নির্বাচনে খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েন অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। জয়ের হাসি হাসেন তিনি। নির্বাচনে জেতার পর থেকেই খড়গপুরে যত অশান্তি। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই সময় থেকেই খড়গপুরে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল চরমে পৌঁছেছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং হিরণের সম্পর্ক যে মোটেও মধুর নয়, সে বিষয়টিও প্রায় সকলেরই জানা। আর সেই মতপার্থক্যের জেরে কোনও দলীয় অনুষ্ঠানেই একসঙ্গে দেখা যায় না তাঁদের। দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে নিজের বিধানসভা এলাকাতেও দেখা যায় না হিরণকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি এলাকা থেকে চলে গেলে ফের খড়গপুরে দেখা যায় হিরণকে। নিজে নানা কর্মসূচিও করেন তারকা বিধায়ক। সেই কর্মসূচিতে আবার ভুলেও অংশ নেন না দিলীপ ঘোষ।
সাম্প্রতিককালে গত ২ জানুয়ারিও সেই একই কাণ্ড ঘটে। দিলীপ ঘোষের ডাকা পুরভোট সংক্রান্ত বৈঠকে দেখা যায়নি হিরণকে। সেই বৈঠকে যদিও যোগ দেননি দিলীপ ঘোষ নিজেও। মঙ্গলবারও একটি বৈঠক ছিল খড়গপুরে। সেই বৈঠকে দিলীপ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। তবে হিরণ ছিলেন গরহাজির। তাঁর দাবি, বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার ফলে দলীয় বৈঠকে থাকতে পারেননি। সে বিষয়টি নাকি আগেভাগেই জেলা সভাপতিকে জানিয়েছিলেন তিনি।
বৈঠকে যোগ না দেওয়া নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই দলের অন্দরে চলছে জোর আলোচনা। তারই মাঝে বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েও বেরিয়ে যান হিরণ। অনেকেই বলছেন, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে অন্তর্কলহের জেরে এই সিদ্ধান্ত। যদিও এ বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি হিরণ। তবে কি দল বদলেরও পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির তারকা বিধায়কের? সেই প্রশ্নও মাথাচাড়া দিচ্ছে।
Be the first to comment