মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে পাহাড় থেকে পড়ে শেষ স্ত্রী, স্বামী প্রাণে বাঁচলেও পরতে-পরতে দানা বাঁধছে রহস্য

Spread the love

সদ্য বিয়ে হয়ে মেয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছে। একরাশ আনন্দের পর বিচ্ছেদের বেদনায় তখনও থমথমে ‘বাপের বাড়ি’। পরিজনদের শান্তনায় তখন একটু-একটু করে নিজেদের সামলাচ্ছেন মেয়ের বাবা-মা। কিন্তু চিরস্থায়ী করা গেল না সেই শান্তনা। এরই মাঝে মেয়ের মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছাল সেই বাড়িতেই। হিমাচল প্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হল পাহাড়ের খাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মেয়ে জয়িতা দাসের। মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে মেয়ের মৃত্যুর খবরে এখন যেন ‘সর্বহারা’ বাবা যাদব চন্দ্র দাস। যদিও পরিজনদের তরফে এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। দুর্ঘটনা ঘটলে জামাই কীভাবে অক্ষত থাকলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগরপাড়া নর্থ স্টেশন রোড এলাকায় বাসিন্দা জয়িতার সঙ্গে বিয়ে হয় দমদম পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা রাহুল পোদ্দারের। ২০ ফেব্রুয়ারি বিয়ের পর সমস্ত রীতি পালন করে নবদম্পতি রওনা দেয় মধুচন্দ্রিমায়। ৪ মার্চ হিমাচল প্রদেশের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। কিন্তু হঠাৎই সেখানকার কন্নর জেলার পুলিশের তরফে জয়িতার বাবা যাদব চন্দ্র দাসের কাছে মেয়ের মৃত্যুর খবর আসে।

সদ্য বিবাহিতা মেয়ের হঠাৎ মৃত্যুর খবরে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। মেনে নিতেই পারছেন না তাঁরা। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। যদিও পরিজনদের প্রশ্ন, পাহাড়ের খাত থেকে কীভাবে পড়ে মৃত্যু হল? যদি দুর্ঘটনাই হয় তাহলে তার স্বামী রাহুল পোদ্দার কীভাবে প্রাণে বাঁচলেন? ঘটনার পিছনে একগুচ্ছ রহস্য রয়েছে বলে দাবি পরিবারের। গোটা ঘটনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চাইছেন পরিজন ও প্রতিবেশীরা।

মৃতার বাবা যাদব চন্দ্র দাস কাঁদতে-কাঁদতে বলেন, “আমায় ওইখানকার ওসি ফোন করে জানালেন যে মেয়ে খাদে পড়ে গিয়েছে। ওইখানে একটি সুইসাইড পয়েন্ট রয়েছে। সেই পয়েন্টের কাছ থেকেই পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওর। আর কোনও আশা নেই। আর জানাল, ময়নাতদন্ত করতে হবে।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*