রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ বৃহস্পতিবার কমান্ড হাসপাতালের চিকিৎসকের গাড়ির চালকও করোনা আক্রান্ত বলে জানা যাচ্ছে। এই নিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৮।
আগেই আলিপুর কমান্ড হাসপাতালের এক চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ওই চিকিৎসক কোন ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই তাঁর পরিবারের সব সদস্যের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় এবং করোনা টেস্ট করা হয়৷ পরিবারের সব সদস্যের লালা রসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
নাইসেডে চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যদের লালারসের পরীক্ষা হয়। লালা রস পরীক্ষায় তিন জনের দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। নতুন করে করোনা আক্রান্ত ওই তিনজনকেই কমান্ড হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন আরও কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই আক্রান্তদের আত্মীয়দের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ৪ জনের নমুনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এই চারজনই করোনা সংক্রমণে মৃত কালিম্পঙের মহিলার আত্মীয়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি আরেক ব্যক্তির শরীরেও মিলেছে করোনা সংক্রমণ। তিনি করোনা আক্রান্ত দাসপুরের যুবকের সংস্পর্শে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মারা গিয়েছেন ৩৷ আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়লেও রাজ্যে ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ৩ জন। রজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্তকে সোমবারই ছেড়ে দেয় বেলঘাটা আইডি হাসপাতালের চিকিৎসকরা৷
এদিন দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়েছে৷ মারণ ভাইরাসের বলি হয়েছেন এখনও পর্যন্ত ৫০ জন। বুধবারই দেশে ৩০০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ দিল্লির নিজামউদ্দিনের জমায়েতের পর থেকে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে৷ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩৭ জন৷
Be the first to comment