রূপ বিশেষজ্ঞ শর্মিলা সিং ফ্লোরা –
আমাদের পারফেক্ট লুকস বা সৌন্দর্যের অনেকটাই জুড়ে থাকে চুল। সে ছেলে হোক বা মেয়ে, কেউই অকালে নিজের চুলকে হারিয়ে ফেলতে চাইবেন না। আর এই চুলের সমস্যা নিয়ে তৈরী হয় যত চুলোচুলি। একেই গরমকাল সেকারনে স্কাল সবসময় ঘেমে থাকে। তার থেকে চুল পড়া তো আছেই, সাথে ড্যানড্রফের সমস্যা। এছাড়াও এইসময় মাথায় অনেকধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয়, যেগুলো চুলের গ্রোথে খুবই বাধার সৃষ্টি করে। সেইজন্যই স্কিনের সঙ্গে সঙ্গে চুলের যত্ন নেওয়া সমানভাবে দরকার।
সবার আগে বলবো প্রতিদিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুতে হবে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই মনে করেন রোজ শ্যাম্পু করা খুবই খারাপ কিন্তু রোজ যদি কেউ শ্যাম্পু করে ৫০ শতাংশ সমস্যা সেখানেই চলে যায়। আরেকটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে প্রতিদিন আমরা যেমন নিজেদের শরীর ও মুখ পরিষ্কার করি, সেভাবেই কেন আমরা আমাদের স্কাল পরিষ্কার করবো না?
চুলের ধরন অনুযায়ী ফ্লোরার ৪টে শ্যাম্পু আছে। আপনি এরমধ্যে যে কোনও একটা আপনি বেছে নিতে পারেন বা মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করেও করা যেতে পারে। অ্যালোপেসিয়া শ্যাম্পু বিশেষত খুব ড্রাই, ড্যামেজ কালার অথবা কেমিক্যাল ট্রিটেড চুলের জন্য। অ্যান্টি ড্যানড্রফ শ্যাম্পু খুসকির সমস্যার জন্য। ভলিউম শ্যাম্পু, এটা সাধারন, অয়েলি থেকে সোয়েটি মোটামুটি সব চুলের জন্যই ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যান্টি হেয়ার ফল শ্যাম্পু, এটা হেয়ার ফল ও ড্রাই চুলের জন্য ব্যবহার করা হয়।
এ তো গেলো শ্যাম্পুর কথা। এবার প্রতিদিন একটা হেয়ার টনিক ব্যবহার করা খুব দরকার। এতে যেমন আপনার নতুন চুল গজাবে পাশাপাশি খুসকি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যাও দূর হবে। ফ্লোরার অ্যালোপেসিয়া টনিক প্রতিদিন ব্যবহার করলে চুলের যে কোনও সমস্যা গ্যারান্টি দিয়ে চলে যাবে এবং নতুন চুল ফিরে আসবে। ফ্লোরার হেয়ার লোশন তারাই সাধারন ভাবে ব্যবহার করতে পারেন, যাদের এখনও অতটা সমস্যা শুরু হয়নি তারা সাবধানতা অবলম্বনের জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন। এরসঙ্গে সপ্তাহে একদিন ফ্লোরার হেয়ার প্রোটিন প্যাক ব্যবহার করতেই হবে, যা চুলকে পুষ্টি যোগাবে।
এছাড়া বাইরে থেকে চুলকে সুন্দর দেখানোর জন্য ফ্লোরার হেয়ার স্পা এবং সেরাম অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর পরিমান জলও খেতে হবে এবং ভিটামিন ডি নিতে হবে। আর এগুলো যদি প্রতিদিন করা যায় তাহলে আপনার চুল নিয়ে চুলোচুলি আপাতত বন্ধ হয়ে যাবে এতটুকু জোর দিয়ে বলাই যেতে পারে।
Be the first to comment