নেশার অন্ধকার জগত থেকে বেরিয়ে আসতে রিহ্যাব সেন্টারে এসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তখনও জানতেন না নেশামুক্তি কেন্দ্রে তাঁদের জন্য কোন বিভীষিকা অপেক্ষা করে আছে। নেশামুক্তির কেন্দ্রের আড়ালেই চলছিল মধুচক্র। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শনিবার সকালে ধুন্ধুমার বেঁধে গেল হাওড়ার নিশ্চিন্দা এলাকায়। শেষপর্যন্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিশ্চিন্দা এলাকায় কান পাতলেই রিহ্যাব সেন্টার সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ শোনা যেত। বেশ কিছুদিন ধরেই রিহ্যাব সেন্টারে মহিলা রোগীদের চিকিৎসার নামে নানারকম অবৈধ কাজকর্ম করানো হচ্ছিল। এনিয়ে ক্ষোভ ছিল অনেকদিন ধরেই। কিন্তু হাতেগরম প্রমাণ না থাকায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়নি তারা। কিন্তু এদিন সকালে রিহ্যাব সেন্টারের মালিকের স্ত্রী অভিযোগ জানাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
শনিবার সকালে রিহ্যাব সেন্টারের মালিকের স্ত্রী সটান থানায় হাজির হন। অভিযোগ করেন, নেশামুক্তি কেন্দ্রের আড়ালে মধুচক্র চলছে। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। রিহ্যাব সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধ করা হয় রাস্তা। এমনকী, রিহ্যাব সেন্টারের সদস্যদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে ছুটে আসে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও পলাতক নেশামুক্তি কেন্দ্রের মালিক এবং অন্যরা। তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, এর আগেও রিহ্যাব সেন্টারে নানা ধরনের কুকীর্তির খবর সামনে এসেছে। চলতি বছরের মে মাসে রিহ্যাব সেন্টারের কর্মীদের উপর হামলা চালায় এক আবাসিক। হরিদেবপুরের সুকান্তপল্লিতেই রয়েছে রাজ্যের সবথেকে পুরনো এই রিহ্যাব সেন্টার। এখন এখানে ৩৬ জনের চিকিৎসা হচ্ছে। অর্জুন নামে অভিযুক্ত যুবক মূলত গাঁজায় আসক্ত ছিল। মাসখানেক আগে নেশামুক্তির জন্য তাকে এই কেন্দ্রটিতে পাঠান পরিবারের লোকেরা। রবিবারের সকালে প্রথমে প্রার্থনা হয়। এরপর কর্মীরা গিয়ে আবাসিকদের জন্য চায়ের আয়োজন করছিলেন। তখনই রান্নাঘরে ঢুকে হামলা করেছিল ওই নেশাগ্রস্ত যুবক।
Be the first to comment