সাঁতার শিখতে গিয়ে সুইমিং পুলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৯ বছরের এক নাবালকের। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ডুমুরজলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার ব্রজনাথ লাহিড়ি লেনের বাসিন্দা মৃত ওই খুদে সাঁতারুর নাম বিদীপ্ত ঘোষ। আর এই ঘটনার পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাওড়া স্বামীজি সঙ্ঘের সুইমিংপুল। একথা জানিয়েছেন সুইমিং পুলের প্রশিক্ষক কৃষ্ণ গোপাল।
তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় অবাক হয়ে গিয়েছেন তিনি নিজেও। ২৫ বছরের পুরনো এই সুমিংপুলে এর আগে কখনও এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে। সুইমিং পুলের মাঝে জলের গভীরতা সাড়ে চার ফুট ও ধারে রেলিং এর অংশে জলের উচ্চতা শিশুদের জন্য আড়াই ফুট। ফলে সেখানে কীভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সুইমিং পুল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার বিকেলে হাওড়ার স্বামীজী সঙ্ঘ ক্লাবের সুইমিং পুলে সাঁতার শিখতে গিয়েছিল বিদীপ্ত। মায়ের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিল সে। অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে সে সাঁতার শিখছিল। এরপর হঠাৎই সে অতিরিক্ত জল খেয়ে ফেলে। প্রশিক্ষকদের নজরে তা আসার আগেই সে অচৈতন্য হয়ে পড়ে। ঘটনাটি নজরে আসতেই প্রশিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে জল বের করার চেষ্টা করে। কিন্তু, গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই নাবালক। এরপর তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চ্যাটার্জি হাট থানার পুলিশ। কীভাবে এবং কার গাফিলতিতে এই মৃত্যু তা তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে শনিবার সকালে ওই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক তথা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সুজয় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “সুইমিংপুলের জল যতটা স্বচ্ছ থাকা দরকার ততটা চোখে পড়েনি। তবে জল পরীক্ষা করলে বোঝা যাবে। ধুলোকনা জলে বেশি থাকলে তা শিশুদের স্বাস্থের পক্ষে ক্ষতিকর।”
সুইমিং পুল কর্তৃপক্ষের দাবি, এদিন প্রশিক্ষকের কাছেই সাঁতার শিখছিল বিদীপ্ত। হঠাৎই প্রশিক্ষকের নজরে আসে বিদীপ্ত তলিয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে পরিবাবের দাবি, সুইমিং পুলে নামার পর দীর্ঘক্ষণ তার খোঁজ না মিললেও কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও অনুসন্ধান করা হয়নি।
Be the first to comment