আগামী দু’বছরে হাওড়া জেলায় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগ হবে ১২ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। কর্মসংস্থান হবে প্রায় ১ লক্ষ ৫২ হাজার। মঙ্গলবার হাওড়ায় ছোট উদ্যোগপতিদের শিল্প সম্মেলন বা সিনার্জিতে একথাই জানিয়েছেন রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তাঁর দাবি, গত দেড় বছরে হাওড়া জেলায় ছোট ও মাঝারি শিল্পে প্রায় ৫ হাজার ৬১৩ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে। কয়েক লক্ষ বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানও হয়েছে। রয়েছে ১০০ কোটি লগ্নি ও ১৫ হাজার কর্মসংস্থানের প্রস্তাবও।
সম্মেলন থেকে হাওড়া জেলায় আরও বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয় ছোট ও মাঝারি উদ্যোগপতিদের। সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, যাঁরা বিনিয়োগ করবেন, তাঁদের যাতে কোনওরকম হয়রানির মুখে না পড়তে হয় তা লক্ষ্য রাখছে রাজ্য সরকার। সেজন্য অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স চালু হয়েছে। পাশাপাশি, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেকার যুবক-যুবতীদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে কাজে লাগানোর কথা উদ্যোগপতিদের বলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।
হাওড়ায় একগুচ্ছ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শাটল ককের ব্যবসার পুনরুজ্জীবন শুরু হয়েছে বলে উলুবেড়িয়া চেম্বার অফ কমার্সের তরফে জানানো হয়। উলুবেড়িয়া চেম্বার অফ কমার্সের তরফে তমাল ঘোষাল জানান, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের তরফে শ্যামপুরে সিদ্ধেশ্বরী কটন মিলকে পাঁচ একর জমি দেওয়া হয়েছে। সংস্থার কর্ণধার নম্বি দুজারি জানিয়েছেন, কারখানাটি চালু হলে প্রাথমিকভাবে ৫০০ যুবকের কর্মসংস্থান হবে। জেলা প্রশাসনের বৈঠকে এই সিদ্ধেশ্বরী কটন মিলকে ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এছাড়াও এদিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয় উলুবেড়িয়ার বাণীতলা মৌজায় ছোট শিল্প স্থাপনে সবরকম সাহায্য করা হবে। শিল্পস্থাপনে ছোট ও মাঝারি শিল্পপতিদের যাতে কোনওরকম সমস্যায় পড়তে না হয়, সেজন্য এদিন হাওড়ার শরৎ সদনে অনুষ্ঠিত সিনার্জিতে জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের তরফে সব রকম সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়।
সম্মেলনের মধ্যেই ছিল হেল্প ডেস্ক। সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তর, ব্যাংক ছিল। অনুমতি, এনওসি, লাইসেন্স মিলিয়ে ১১৫টি বিষয়ের আবেদন আসে। তার মধ্যে এদিনই ৩৮টির সমাধান করা হয়। বাকিগুলিও দ্রুত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এদিন সিনার্জিতে যোগ দেন ৪৫০ জন উদ্যোগপতি। সিনার্জি পরিচালনা করেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য। এখানে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়, পুলক রায়-সহ জেলার অন্যান্য বিধায়ক ও জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগপতিরা।
Be the first to comment