
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- শোকজের জবাব দিলেও ক্ষমা চাইলেন না মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। দলীয় নেতৃত্বের পাঠানো শোকজের জবাব দেওয়ার জন্য নিজেই আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৭ মার্চ পর্যন্ত সময় চেয়ে নিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। কিন্তু, সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা আগেই শনিবার অর্থাৎ ১৫ মার্চ শোকজের জবাব দিলেন তিনি।
এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন হুমায়ুন। সেইসব সাক্ষাৎকার বেশ ঝাঁঝালোই ছিল বলা যায়। হুমায়ুন সাফ জানিয়ে দেন, যে নির্দিষ্ট বক্তব্যের জন্য তাঁর কাছে দলের তরফে চিঠি দিয়ে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছিল, এখনও তিনি তাঁর সেই বক্তব্য ও অবস্থানে অনড়ই থাকবেন। কারণ, তাঁর মনে হয় না, তিনি এমন কোনও মন্তব্য করেছেন, যার দ্বারা বিধানসভার, বিধানসভার অধ্যক্ষের কিংবা দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, ওই দিন কী বলেছেন, কেন বলেছেন – তার ব্যাখ্যা শোকজের জবাবে দিয়েছেন। এক পৃষ্ঠার শোকজ ছিল। তিনি জবাব লিখেছেন দু’পৃষ্ঠায়। দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির দায়িত্বে থাকা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে হোয়াটসঅ্যাপে সেই চিঠির পিডিএফ ফাইল পাঠিয়ে দিয়েছেন বিধায়ক। কিন্তু, সেই জবাবি চিঠির কোথাওই নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাননি হুমায়ুন।
তাঁর বক্তব্য, তিনি যখন জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তখন তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্বই ছিল না। তিনি একটি মুসলিম হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মুসলিম মায়ের পেটে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আজও তিনি সবার আগে সেই মুসলিম প্রতিনিধি এবং তারপর কোনও দলের – কোনও নেত্রীর অনুগত সৈনিক! এখন কেউ যদি তাঁর গোষ্ঠীকে অসম্মান করেন, তাহলে তিনিও তাঁর জবাব দেবেন। চুপ করে বসে থাকবেন না!
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরেই হুমায়ুন কবির ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে বাকযুদ্ধ চলছে। রাজনীতির কারবারি ও বিশ্লেষকরা বলছেন, সেই বাকযুদ্ধ এমন একটা পর্যায়ে চলে গিয়েছে, যা কখনও কোনও গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ দেশে কাম্য হতে পারে না। যদিও শুভেন্দু বা হুমায়ুন – কেউই এসবে পাত্তা দিতে নারাজ। তাঁরা রয়েছেন তাঁদের মতোই।
Be the first to comment