অণুগল্প – হুমকি

Spread the love

রাজিত বন্দ্যোপাধ্যায় –
টাটা লোকাল গিধনী স্টেশনে পৌঁছাতেই মা ও মেয়ে নেমে পড়লে । আজ ঝাড়গ্রামে তার টিউশন ছিল । আগে সে একাই যেত আর ফিরেও আসত । ইদানিং দিন বদলেছে । একটি ছেলে প্রায়ই পিছু নেয় সোনালীর । বকাটে ছেলে । লোফার মার্কা চেহারা । তাই মাকে নিয়েই সে বেরোয় পড়তে ।
প্ল্যাটফর্মে নেমেই ভিড়ের মধ্যেও নজরে পড়ল সেই ছেলেটা । সে মাকে চোখের ইশারায় দেখাল তাকে । তারপর দুজনে হাঁটা দিল স্টেশন থেকে বেরানোর রাস্তায় । সোনালীর মা শিপ্রাদেবী কি মনে হওয়ায় হঠাৎ পিছু ফিরে চাইতেই দেখেন সেই ছেলেটাকে , সঙ্গে আরো একজন মস্তান টাইপের ছেলে । আতঙ্কে ততক্ষণে দুজনেরই গলা শুকিয়ে গিয়েছে । তাড়াতাড়ি পা চালাল দুজনে স্টেশন ছাড়তে ।
পিছনের ছেলে দুটো প্রায় ধাওয়া করতে শুরু করে দিয়েছে । দুজনে আরো জোরে পা চালিয়ে দিলে । কিন্তু শেষরক্ষা হলনা , বাজারের মত জায়গাটা সবে ছাড়িয়ে তাদের বাড়ির পথ ধরতেই । পথ চলতি লোকজনের সামনেই ঝাপিয়ে পড়ল বকাটে ছেলেটা সোনালীর উপর ! মস্তান সঙ্গী ছেলেটা ততক্ষণে পৌঁছে গিয়েছে সোনালীর মায়ের কাছে । সে তার মুখ টা চেপে ধরবার চেষ্টা করতেই শিপ্রাদেবী চেঁচিয়ে উঠলেন ।
বেগতিক দেখে বকাটে রবি সোনালীকে ছেড়ে দৌড় লাগাল পিছন দিকে বাজারের মধ্যে । তাদের চিৎকারে ছুটে এসেছে বাজারের লোকজন চারিদিক থেকে । শিপ্রাদেবীকে ছেড়ে মস্তান ছেলেটাও লাগিয়েছে দৌড় । আচমকা লোকজন দেখে ভয় পেয়ে গেল রবি । ততক্ষণে তাকে ঘিরে ধরেছে জনা আষ্টেক দোকানী । হাতে নাতে ধরা পড়ে রবি ফুসতে লাগল । দেখতে দেখতে এসে পড়ল রেল পুলিশের একটা দল । দোকানদারেরা রবিকে তাদের হাতে তুলে দিলেন । ইনেসপেক্টরের কাছ থেকে জানা গেল রবি দাগী অপরাধী । বছর দুয়েক আগে সে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে !
শুনে টুনে মা ও মেয়ের হাত পা পেটের ভিতর সেঁধোতে শুরু করে দিয়েছে । হে মা কালী এ কোন ফেরে ফেললে ? ওদিকে রবি পুলিশের হাতে বন্দী থেকেও ফুঁসে চলেছে । ভরা বাজারে সে দিয়ে বসল হুমকি মা ও বেটী কে ।
রবির চোখ মুখ রক্তবর্ণ ধারণ করেছে পুলিশের হাতে পড়ে । সে মা ও বেটীর দিকে চেয়ে বললে ,

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*