হায়দ্রাবাদে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ বছর সাতাশের ইঞ্জিনিয়ারের। রবিবার রাতে সীতাফলমান্ডিতে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম পি শ্রবণ কুমার। তিনি নিজামবাদের বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর চারেক আগে বি টেক পড়া শেষ করেন ওই যুবক। তারপর থেকে চাকরি খুঁজছিলেন তিনি। কিন্তু এর মাঝে দীর্ঘদিন চামড়ার রোগে ভুগছিলেন শ্রবণ। ফলে সঠিক ভাবে মনোযোগ দিতে পারছিলেন না নিজের পড়াশোনায়। যদিও এর মাঝেই বেশ কয়েকটি ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন ওই যুবক। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। চাকরি পাননি তিনি। আর এরপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন পি শ্রবণ কুমার। পুলিশের অনুমান, এই অবসাদের কারনেই আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক।
রেল পুলিশের কনস্টেবল মুরলী কৃষ্ণ জানিয়েছেন, “রবিবার সন্ধ্যে সাড়ে ছ’টা নাগাদ বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরোন শ্রবণ। এরপর রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ তুঙ্গভদ্রা এক্সপ্রেসের সামনে ঝাঁপ দেন তিনি। লাইনে দাঁড়িয়ে দেখে সাইরেন বাজিয়ে তাঁকে বারবার সতর্ক করেছিল পুলিশ। এমনকী ট্রেনের চালকও শেষ মুহূর্তে ব্রেক কষে দুর্ঘটনা এড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেকতা দেরি হয়ে গিয়েছিল। শেষ রক্ষা হয়নি।”
গান্ধী হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর শ্রবণের দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল পুলিশ। এই ঘটনায় একটি মামলাও রুজু করেছে পুলিশ।
Be the first to comment