স্কুল ইউনিফর্ম পরা ফুটফুটে শিশুগুলিকে দেখে ঘুণাক্ষরেও টের পাওয়া যায়নি হোমটির ভিতরে কী ভয়ঙ্কর কাজকর্ম হয়ে থাকে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হোমের ভিতরে গিয়ে শিউরে ওঠেন দুঁদে পুলিশ অফিসারেরা। হোমের আড়ালে নাবালিকাদের নিয়ে রমরম করে চলছে দেহব্যবসা। শুধু তাই নয়, নাবালিকাদের মাদক এবং হরমোন ইঞ্জেকশন দিয়ে দেহ ব্যবসার কাজে লাগানো হয়।
হায়দ্রাবাদ শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে ইয়াদাগিরিগুত্তার একটি হোম থেকে এমন ১১টি শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের প্রত্যেকের বয়স ৭ থেকে ১০ বছর। যৌন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হোমের কর্মচারী-সহ আট জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ছ’জন মহিলা।
তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, এই মহিলারা ওই শিশুদের মায়ের পরিচয় দিয়ে হোমে থাকত। এলাকার কেউ যাতে সন্দেহ না করে সেই জন্য বাচ্চাদের স্কুলেও ভর্তি করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে দেশের নানা প্রান্ত থেকে গরীব পরিবারের শিশুদের কিনে এনে এই হোমে রাখা হত। পরে তাদের মাদক খাইয়ে এবং হরমোন ইঞ্জেকশন দিয়ে দেহ ব্যবসার কাজে লাগানো হত।
রাচাকোন্দার পুলিশ কমিশনার মহেশ এম ভগবত বলেছেন, “অভিযুক্তেরা দালালের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে শিশুদের পরিবারের সঙ্গে রফা করত। সাধারণত খুব গরীব পরিবার থেকেই মেয়েদের তুলে আনা হত। যৌন উত্তেজক হরমোন ইনজেক্ট করে দেহ ব্যবসায় লাগানো হত ওই শিশুদের।”হরমোন ইঞ্জেকশনের যোগান দিতেন স্বামী নামে এক চিকিৎসক। তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসে যখন বছর আটেকের একটি বাচ্চা মেয়ে হোম থেকে পালানোর চেষ্টা করে। এলাকার লোককে বাচ্চাটি বলেছিল যে তার মা তাকে বকেছে। ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসা করলে তার আচরণে অসঙ্গতি দেখেন বাসিন্দারা। সন্দেহ তখনই দানা বাঁধে।
পুলিশ জানিয়েছে, খুব বড় চক্র এর পিছনে কাজ করছে। চক্রের মূল পান্ডাকে খোঁজার চেষ্টা চলছে।
Be the first to comment