নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করছেন। জানালেন, দু’ঘণ্টা ধরে তিনি নবান্নের সভাঘরে অপেক্ষা করছিলেন। জুনিয়র চিকিৎসকেরা আসেননি। মামলাটি বিচারাধীন। এই নিয়ে বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার হতে পারে না। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘‘ওরা ছোট, আমাদের কাজ আবেগকে মর্যাদা দিয়ে ক্ষমা করে দেওয়া। আমরা ভেবেছিলাম, ওরা রাজি হবে। ৪টে ৪৫ মিনিটের মধ্যে আসতে বলেছিলাম। অনেক দেরি করে এসেছেন।’’ মমতা বলেন, ‘‘নির্যাতিতার জন্য শোকপ্রস্তাব নেব বলে ঠিক করেছিলাম। ২ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করেছি। তিন দিন ধরে অপেক্ষা করছি। বাংলার মানুষের সহানুভূতি আছে। আমি নিজেও মিছিল করেনি। পরিবারের সঙ্গে আমরা একমত। সিবিআই দ্রুত তদন্ত শেষ করুক। আমাদের হাতে মামলাটি নেই। সিবিআই সম্বন্ধেও কিছু বলতে চাই না এখন।’’ মমতা বলেন, ‘‘সরাসরি সম্প্রচারে আমাদের আপত্তি ছিল না। কিন্তু এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে চলছে। আমরা এমন কিছু করতে চাইনি, যাতে অচলাবস্থা চলতে পারে। চিঠিতে আমরা লিখেছিলাম, সরাসরি সম্প্রচার করতে পারব না। ওরা যে কোনও ইস্যু তুলতে পারতেন। সেটা ওঁরা পরে সংবাদমাধ্যমকে জানাতে পারতেন। আমরা যুগ্ম ভাবেও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারতাম।’’ মমতা বলেন, ‘‘আমাদেরও কাজ আছে। প্রতি দিন এ ভাবে অপেক্ষা করানো হচ্ছে। ওঁরা কেন আসছেন না, সেটা সাংবাদিক বৈঠক করেও জানাতে পারতেন। তা করেননি।’’ মমতা বলেন, ‘‘আমি তিন বার চেষ্টা করলাম। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে। ইতিমধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩২ দিন হয়ে গেল। অনেকেই কাজ করছেন না। সাত লক্ষ মানুষ পরিষেবা পাননি। যে কোনও মৃত্যু মর্মান্তিক। কিন্তু এত মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এর থেকে লজ্জার কী হতে পারে?’’ নবান্ন থেকে মমতা বলেন, ‘‘ডাক্তারেরা ভগবান। এত মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন। আমার হৃদয় কাঁদছে।’’বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাত জোড় করে তিনি বললেন, ‘‘তিন দিনেও সমাধান করতে পারলাম না। বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। যাঁরা নবান্নের সামনে এসেও বৈঠকে এলেন না, তাঁদের আমি ক্ষমা করলাম।’’ মমতা বলেন, ‘‘অনেকে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বাইরে থেকে নির্দেশ আসছিল। দু’তিন জন রাজি হয়নি। আমি মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। ডাক্তারদের অনুরোধ করছি, কাজে ফিরুন।’’ মমতা বলেন, ‘‘আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। অনেক ভুল বোঝাবুঝি, কুৎসা হয়েছে। সাধারণ মানুষ রঙ বোঝেনি। আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। কিন্তু আশা করি, মানুষ বুঝেছেন, ওরা বিচার চায় না। চেয়ার চায়।’’ মমতা বলেন, ‘‘আশা করেছিলাম, ছোটরা এসে কথা বলবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সময় পেরিয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার যা করবে, তাতে বাধা দেব না, জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আমি এটাকে ঔদ্ধত্য হিসাবে দেখছি না।’’
Related Articles
সরলেন অত্রি, সরানো হলো রাজীবকেও; নজিরবিহীন ভাবে কমলো প্রচারের সময়সীমা
Spread the loveরাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। আপাতত মুখ্যসচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর কাজ পরিচালনা করার জন্য। উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে কমিশনের তরফে বলা হয়, স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য মুখ্য […]
আজ বারাসাতে জনসভা মমতার
Spread the loveলোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফা শেষে রবিবার ষষ্ঠ দফার ভোট দেশজুড়ে। আর সেই প্রচারেই আজ বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী জনসভা করবেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারাসাতের অশোকনগরে জনসভা বেলা ৩টেয়। জনসভা শেষে বিকাল […]
নবান্ন অভিযান ঘিরে কড়া নিরাপত্তা পুলিশের, ডাকা হল জেলার উচ্চ পুলিশকর্তাদেরও
Spread the loveচিরন্তন ব্যানার্জি, কলকাতাঃ আগামী ২৭ তারিখ ছাত্র সমাজের ডাকে আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে নবান্ন অভিযান। ওইদিনের নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে চলেছে নবান্ন। ইতিমধ্যেই একাধিক জেলার উচ্চপদস্থ […]
Be the first to comment