
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- কল্পনার থেকেও বড় সাজা দেব, ‘ভারতের আত্মায় আঘাত করা’ জঙ্গি এবং তাদের সহযোগীদের কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি আরও বলেন, ‘কার্গিল থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত সকলে শোকে রয়েছেন। সবার মধ্যে আক্রোশ রয়েছে। দেশের শত্রুতা ভারতের আত্মাকে আক্রমণ করেছে। যে এই হামলা করেছে, সেই সন্ত্রাসবাদীদের কল্পনার থেকেও বেশি শাস্তি মিলবে।’ কেউ নিজের ছেলে, কেউ নিজের ভাইকে, কেউ স্বামীকে হারিয়েছেন। ওঁর মধ্যে কেউ বাংলা, কেউ কন্নড়, কেউ মারাঠি ছিলেন, গুজরাটি ছিলেন। সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের দেশের আত্মাকে আক্রমণ করেছে। সন্ত্রাসের সামনে ভারত মাথা নোয়াবে না।
৪৮ ঘণ্টা আগে দেশে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়ে গিয়েছে। শোকের আবহ থেকে এখনও বেরোতে পারেনি আমজনতা। সরকারের তরফেও যে তৎপরতা নেই, তেমন নয়। বুধবার নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে একাধিক কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সিন্ধু চুক্তি বাতিল, আটারি সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিলের মতো একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। অপেক্ষা ছিল প্রধানমন্ত্রীর বার্তায়। প্রথমবার প্রকাশ্যে পহেলগাঁও নিয়ে মুখ খুলেই প্রধানমন্ত্রী বলে দিলেন, “ভারতের আত্মায় আঘাত করার দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে, তারা ছাড় পাবে না। পৃথিবীর যে প্রান্তেই লুকিয়ে থাক, তাদের খুঁজে বের করে মারবে ভারত।” শুধু তাই নয়, যারা এই সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেয়, যারা আড়াল থেকে সাহায্য করে, তাদের যেটুকু অস্তিত্ব অবশিষ্ট আছে, সেটাও গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। সন্ত্রাসবাদীদের খুঁজে বার করে কোমর ভেঙে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন মোদি।
বৃহস্পতিবার বিহারের মধুবনীতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সরকারি সভা ছিল। পহেলগাঁও ইস্যুতে সর্বদল বৈঠকে না থেকে কেন ভোটমুখী রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী, সে নিয়ে প্রশ্নও উঠছিল। এদিন সভার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন, সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিলেও পহেলগাঁও নিয়ে তিনি ব্যাথিত। সভার শুরুতেই পহেলগাঁওয়ে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে নীরবতা পালন করেন তিনি। তারপরই প্রধানমন্ত্রীর মুখে কড়া বার্তা শোনা যায়। মোদি বলেন, “এই হামলা শুধু ওই পর্যটকদের উপর হামলা নয়। ভারতের আত্মায় আঘাত করার দুঃসাহস দেখিয়েছে জঙ্গিরা। এমন শাস্তি দেব যে ওরা কল্পনাও করতে পারবে না।”
মধুবনীর সভায় এতক্ষণ হিন্দিতেই বলছিলেন মোদি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এরপরই তিনি ইংরাজিতে বলা শুরু করলেন। উদ্দেশ্য গোটা বিশ্বকে বার্তা দেওয়া। প্রধানমন্ত্রী বললেন, “বিশ্বের যে প্রান্তেই লুকিয়ে থাক জঙ্গিরা, তাঁদের খুঁজে বের করে মারবে ভারত। যারা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে, বা আড়াল থেকে মদত দিচ্ছে তারাও ছাড় পাবে না। ওদের যেটুকু জমি বাকি আছে, সেটুকুও গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।” প্রধানমন্ত্রীর ইশারাতেই স্পষ্ট, পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী এবং তাঁদের মদতদাতাদের খুঁজতে আগামী দিনে বড়সড় পদক্ষেপ করতে চলেছে নয়াদিল্লি।
Be the first to comment