পয়লা বৈশাখের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর থেকে সদর্থক বার্তা না এলে ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিহারাদের যৌথ মঞ্চ

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই গিয়েছে রাজ্যের ২৬ হাজার চাকরি। এই অভিযোগ তুলে নবান্ন অভিযানের ডাক দিল চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিহারাদের যৌথ সংগঠন। শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে আগামী ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। সংগঠনের নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, আমরা আর প্রতিশ্রুতি নয়, স্পট বার্তা চাই, প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই।
পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চ নামে একটি সংগঠন তৈরি করে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন সদ্য চাকরিহারারা। জানানো হয়েছে, ১৫ এপ্রিলের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে কোনও সদর্থক বার্তা না দিলে ১২ -১৩টি সংগঠন যৌথ ভাবে নবান্ন অভিযানে অংশগ্রহণ করবে।
সংগঠনের এক নেতা বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম মুখ্যমন্ত্রী মানবিক। কিন্তু উনি অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী। সরকারের সদিচ্ছার অভাবে চাকরি হারিয়েছেন শিক্ষক শিক্ষকা ও শিক্ষা কর্মীরা। আমারও এই বঞ্চনার শিকার। আমরা আর প্রতিশ্রুতি নয়, স্পট বার্তা চাই, বাস্তবায়ন চাই।’
উল্লেখ্য, দুর্নীতির অভিযোগে ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল, কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বাতিল হয়েছিল ২০১৬-র এসএসসি প্যানেল। মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। আদালতের রায়ে চাকরি হারিয়েছিলেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শীর্ষ আদালতে দফায় দফায় সেই মামলার শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাই কোর্টের চাকরি বাতিল এবং বেতন ফেরতের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। তারপর থেকে দফায় দফায় শুনানি চলছিল। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ছিল শেষ শুনানি। তখন সিবিআই জানায়, তারা চাইছে, কলকাতা হাই কোর্টের ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় বহাল থাকুক। স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে, ব়্যাঙ্ক জাম্প বা প্যানেল বহির্ভূত নিয়োগের তথ্য থাকলেও ওএমআর শিট কারচুপির তথ্য তাদের কাছে নেই। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, একসঙ্গে এতজন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হলে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। সবপক্ষের সওয়াল শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। গত ৩ এপ্রিল চূড়ান্ত রায় শোনান তিনি। বাতিল করেন ২৫,৭৫২ হাজার চাকরি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*