চিকিৎসকদের ভোটেও ছাপ্পা!‌ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল বচসা

Spread the love

আইএমএ-‌র কলকাতা শাখার ভোটেও ছাপ্পার অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ। নির্মল মাজি ও প্রশান্ত ভট্টাচার্য-‌এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা। বহিরাগতদের দিয়ে ভোট করানো, এজেন্টকে বের করে দেওয়া এমনকী ভুয়ো ভোটারেরও অভিযোগ উঠল। শনিবার লেনিন সরণীতে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন শুরু হতেই শুরু হয় ঝামেলা। বেলা বাড়তেই দু’‌পক্ষের তরফে একে অপরের বিরুদ্ধে ছাপ্পাভোটের অভিযোগ তোলা হয়। এরপর শান্তনু সেন ভুয়ো ভোটার এনে ভোটের অভিযোগ তোলেন। শুরু হয় বচসা। হাতাহাতির জেরে চড় পর্যন্ত মারার ঘটনা ঘটে। প্রশান্ত ভট্টাচার্য, অনির্বাণ দলুইয়ের শিবির ঘনিষ্ঠ পার্থপ্রতিম মণ্ডলকে নির্মল-‌ঘনিষ্ঠ অলকানন্দা সরকার চড় মারেন বলে অভিযোগ। অলকানন্দা সরকার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন। ক্যামেরার সামনে চড় মারার কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি। 

এই নিয়ে সভাপতি পদপ্রার্থী প্রশান্ত ভট্টাচার্য বলেন, ১৮০০ ভোটারের মধ্যে ৩৬৬ জন ভোট দিতে এসেছেন। ভুয়ো আইডি কার্ড নিয়ে এসে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা হয়। ছাপ্পাভোট দেওয়া হয়েছে। যেটা কোনও দিন এর আগে হয়নি। পাল্টা নির্মল মাজি ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক বিধায়ক সুদীপ্ত রায় বলেন, ‘অনেক গ্রুপ ডি স্টাফ ‌কালো জামা পরে ভোট দিতে এসেছিল। প্রশান্তই পাঠিয়েছে বলে মনে হয়। পুলিশ তাদের বের করে দিয়েছে।’‌

এদিকে চিকিৎসক তথা শান্তনু সেনের স্ত্রী কাকলি সেন নাম না করে নির্মল মাজিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘যারা হেরে যাবে তারাই ভয় পাচ্ছে।’ শান্তনু সেন দাবি করেন, মোটর পার্টসের একজন দোকানদারকে ভোটার সাজিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। নির্মল মাজি বলেন, মাতৃসদনকে প্রোমোটারের হাতে তুলে দিতে চেয়েছে।

চিকিৎসক তরুণ মণ্ডল বলেন, আইএমএ-‌র সংগঠনগুলির লক্ষ্য হয়ে গিয়েছে যারা ক্ষমতায় থাকে তাদেরকে সমর্থন করা। ক্ষমতা লাভের জন্য এটা সম্পূর্ণ তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। আমি নিজে আইএমএ-‌র আজীবন সদস্য হয়েও বলছি এই সংগঠন সাধারণ সদস্যদের কোনও স্বার্থ দেখে না। চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়েও তাদের কোনও মাথাব্যথা নেই।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*