গত চার বছরে দৃঢ়ভাবে আর্থিক বিকাশের পথে এগিয়ে চলেছে ভারত। এই বলে মোদী জমানার প্রশংসা করলেন আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের প্রধান অর্থনীতিবিদ মরিস অবস্টফেল্ড। তাঁর মতে জিএসটি চালু এবং ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাঙ্করাপসি কোডে সংস্কার করা সঠিক পদক্ষেপ। এর ফলে ভারতীয় অর্থনীতির মৌলিক পরিবর্তন হয়েছে।
৬৬ বছরের মরিস অবসর নেবেন ডিসেম্বরের শেষে। তাঁর জায়গায় আসবেন ভারতীয় অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ। তাঁর আগে একজন ভারতীয় ওই পদে ছিলেন। তিনি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন।
মরিসের কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত নিশ্চিতভাবেই এগিয়ে চলেছে বিকাশের পথে। শেষ ত্রৈমাসিকে যদিও বৃদ্ধির হার ভালো নয়। কিন্তু সামগ্রিকভাবে ভারতের অর্থনীতি বিকাশের পথেই রয়েছে।
একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করে দেন, কয়েকটি ক্ষেত্রে ভারতের অর্থনীতির বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সংস্কারের পথে এগিয়ে যেতে হবে। নির্বাচনের সময়েও ওই পথ থেকে বিচ্যুত হলে চলবে না। না হলে বৃদ্ধির হার কমবে খুব শীঘ্র।
পর্যবেক্ষকদের মতে, মরিস ইঙ্গিত করেছেন, নির্বাচনের কথা ভেবে সরকার যদি সংস্কারের পথ থেকে সরে আসে, জনমোহিনী পদক্ষেপ নেয়, তাহলে অর্থনীতির বিকাশ রুদ্ধ হয়ে যাবে। গত শুক্রবার পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের একজিট পোলের ফল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, রাজস্থানে ও ছত্তিসগড়ে কংগ্রেসের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বিজেপির। এর ফলে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিজেপি নেতাদের কপালে। ১১ ডিসেম্বর ভোটের ফল প্রকাশিত হবে। তাতে যদি সত্যিই বিজেপির ফল খারাপ হয়, তাহলে হয়তো দলের মধ্যে থেকেই দাবি উঠবে, এবার অর্থনৈতিক সংস্কারের পথ ত্যাগ করা হোক।
যে দু’টি অর্থনৈতিক পদক্ষেপের জন্য মোদী সরকার সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছে, তা হল নোটবন্দি ও জিএসটি। ভোটে খারাপ ফল হলে অনেকেই বলবেন, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে হারানো জনপ্রিয়তা উদ্ধার করার জন্য মোদীকে হয়তো অনেকেই বলবেন, জনমোহিনী পদক্ষেপ নেওয়া হোক। অন্তত মোদীর ওপরে যে অর্থনৈতিক সংস্কারের পথ থেকে সরে আসার জন্য চাপ বাড়বে তাতে সন্দেহ নেই। ভারতের মতো দেশে এমন সম্ভাবনা আছে জেনেই আগেভাগে সতর্ক করে দিয়েছেন আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ।
Be the first to comment